নোয়াখালী সদর উপজেলা থেকে অস্ত্রসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি পাইপগান, ১টি রামদা, ২টি ছুরি, ৩টি বাটন মোবাইল ও ৪টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) নোয়াখালী সেনাক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, একই দিন ভোরে উপজেলার ১৯নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার ১৯নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম, তার অনুসারী একই ইউনিয়নের মেহরাজ (৪৬), মো. লিটন (৩২), মো. সাদ্দাম (২৬) ও আবির মিয়া (১৮)।
সূত্রে জানা যায়, কিছু দিন আগে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কালাম কয়েকটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র তার অনুসারীদের কাছে রাখতে দিয়েছিলেন। পরে তার অনুসারীরা ওই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে টিকটক করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট দেয়। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে। ওই সূত্র ধরে যুবদল নেতা কালামের অনুসারী আবির, সাদ্দামসহ কয়েকজনকে যৌথবাহিনী আটক করে। পরবর্তীতে তাদের ভাষ্যমতে যুবদল নেতা কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি আবদুর রহিম রিজভী বলেন, গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুনেছি। এর বেশি কিছু আমার জানা নেই।
নোয়াখালী সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার জানান, সকল অবৈধ অস্ত্রধারীদের আটক, মাদক কারবারি এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার চরমটুয়া এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে অবৈধ অস্ত্রধারী ৫ পাঁচজনকে আটক করে সুধারাম মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।