সারা বাংলা

মাগুরা ডিসি মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে ২ ভাইকে হুমকির অভিযোগ

মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর গ্রামে পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গাছ কেটে নেওয়াসহ সহোদর দুই ভাইকে ভয়ভীতি প্রদর্শণ ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে মাগুরা কালেক্টরেট জামে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে।

বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেক (৬৫) ও মেঝ ভাই বিল্লাল হোসেন তাদের ছোট ভাই কলেজ শিক্ষক ও মাগুরা ডিসি কোট মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আদালতে পৃথক দু’টি মামলা করেছেন। এই তিন ভাই হাজরাপুর গ্রামের মৃত ওয়াজিউল্যাহ মিয়ার ছেলে। 

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, বড় দুই ভাই আব্দুল মালেক ও বিল্লাল হোসেনের সাথে ছোট ভাই আমিরুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ২২ অক্টোবর দুপুরে আমিরুল ইসলাম বিরোধপূর্ণ জমিতে থাকা একটি গামারি গাছ জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যান। গাছটির আনুমানিক মূল্য অন্তত ২০ হাজার টাকা। এর আগেও তার বিরুদ্ধে জোর করে বাঁশ কেটে নেওয়া এবং বাগান থেকে লিচু পেড়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। 

এসব ঘটনায় বাধা দিলে ভয়ভীতি ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদানের অভিযোগ করেছেন আব্দুল মালেক এবং বিল্লাল হোসেন। এসব ঘটনায় এক নারীসহ তিন জনের নামে মাগুরার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেন তারা। এক মামলার প্রধান আসামি ছোটো ভাই আমিরুল ইসলাম এবং অপর মামলার আসামি জহিরুল ইসলাম, চম্পা বেগম ও বাদীর ছোটো ভাই আমিরুল ইসলাম। 

মামলার বাদী অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, ‘ছোটো ভাই আমিরুল ইসলামকে পৈত্রিক সম্পত্তির ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই। তারপরও সে আমার জমিতে অস্ত্রশস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে প্রবেশ করে গত মৌসুমে লিচু পেড়ে নিয়ে গেছে। এবার মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে গেল। নিষেধ করলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, নানান ধরনের হুমকি প্রদান করছে। এতে আমরা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।’ 

মামলার অপর বাদী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এর আগে ডিসি অফিসে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। উল্টো ডিসি কোর্টের ইমাম হওয়ায় উক্ত অফিসের ক্ষমতার দাপট দেখায় সে।’

অভিযুক্ত ছোটো ভাই মাওলানা মো. আমিরুল ইসলাম মাগুরা কালেক্টরেট জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও মাগুরা আদর্শ কলেজের ইসলামী শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক। 

সব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘গত ৩৫ বছর ধরে পৈত্রিক জমি আমার দখলে আছে। লিচু বাগানের ছায়া দূর করতে নিজের লাগানো একটি ছোটো গামারি গাছ কেটেছি। আমার দুই ভাইয়ের সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’ 

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব আলী বলেন, ‘এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’