১০ হাজার ১ টাকা দেনমোহরে ধুমধাম আয়োজন করে পোষা বিড়াল দুষ্টু ও মিষ্টির বিয়ে দিয়েছেন এক দম্পতি। সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর বাজারের ছিদ্দিক মিয়ার বাসার ছাদে এ বিয়ের আয়োজন করেন তারা। বিয়েতে আগত ৭০ জন অতিথির জন্য ছিল নানা ধরনের মুখরোচক খাবারের আয়োজন।
কুলিয়ারচর বাজারের একটি মৎস্য আড়তের মালিক মো. মিশু মিয়া। তার স্ত্রী নাজমা আক্তার গৃহবধূ। মিশু-নাজমা দম্পতি কুলিয়ারচর বাজারের ছিদ্দিক মিয়ার বাসার চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকেন।
জানা গেছে, কুলিয়ারচর বাজারের ছিদ্দিক মিয়ার বাসার ছাদে গতকাল বিকেল ৩টার দিকে বিড়াল দুটির বিয়ের আয়োজন করা হয়। মানুষের বিয়েতে যেভাবে রীতি মানা হয়, ঠিক একই নিয়ম ও রীতি মেনে দুষ্টু-মিষ্টি নামে বিড়াল দুটির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের আগের দিন, দুষ্টু-মিষ্টির গায়ে হলুদেরও আয়োজন করা হয়।
গতকাল পূর্ব গাইলকাটা মহল্লার মো. সেলিম মিয়া বরযাত্রীসহ বর দুষ্টুকে নিয়ে কনের বাড়িতে আসেন। মিষ্টির বাড়ির লোকজন বরপক্ষকে গেটে ধরেন। বরপক্ষের কাছ থেকে দুই হাজার পাঁচ টাকা নিয়ে বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেন কনেপক্ষ। এমন আয়োজনে বিয়েতে আসা প্রায় ৭০ জন অতিথির জন্য পোলাও, গরুর মাংস, মুরগির মাংস, ডিম, সবজি ও কোমল পানীয়সহ নানা খাবারের আয়োজন করে কনেপক্ষ।
খাওয়ার পর্ব শেষ হলে সবাই বর দুষ্টু ও কনে মিষ্টিকে বিয়ে দেন। এসময় রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়েতে ১০ হাজার ১ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়।
দুষ্টু-মিষ্টির বিয়েতে আসা অতিথিরা
বিয়েতে আসা অতিথিরা জানান, কয়েক মাস ধরেই নাজমা-মিশু দম্পতি দুষ্টু ও মিষ্টি নামে বিড়াল দুটিকে লালন-পালন করছেন। তারা এই বিড়াল দুটিকে খুবই ভালোবাসেন ও আদর করেন। এমন আয়োজনে যোগ দিতে পারায় আমরা সবাই খুশি।
বিয়ের আয়োজক নাজমা আক্তার বলেন, ‘কয়েক মাস হলো শখ করে বিড়াল দুটি এনেছি। লালন-পালন করতে গিয়ে আমি বিড়াল দুটির মায়ায় পড়েছি। খুব ভালোবেসে ফেলেছি এদের। তারপর ছেলে বিড়ালটির নাম রাখি দুষ্টু ও মেয়ে বিড়ালটির নাম দেই মিষ্টি। হঠাৎ এদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আমার স্বামী ও সবার সহযোগিতায় সব নিয়ম মেনে গতকাল দুষ্টু-মিষ্টির বিয়ে দিয়েছি। ঘটা করে এদের বিয়ে দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’