সারা বাংলা

গাইবান্ধায় ধান-গম চুরি, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা বরখাস্ত

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া খাদ্য গুদাম থেকে প্রায় ১০১ মেট্রিক টন ধান, গম ও চাল চুরির অভিযোগে বোনারপাড়া খাদ্য গুদামের সাবেক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে ৯৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫৬ টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গত ৭ অক্টোবর খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল খালেক স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ আদেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

খাদ্য বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ ২০২২ মৌসুমে খাদ্য গুদাম থেকে ৭৬ মেট্রিক টন চাল, ২৪ মেট্রিক টন ধান ও প্রায় এক মেট্রিক টন (৭৫০ কেজি) গম এবং চার হাজার খালি বস্তা স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন তৎকালীন বোনারপাড়া খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। এ সব চালের অধিকাংশ ট্রাক গুদামের বাইরে ও অবশিষ্ট ট্রাক গুদামের ভিতরে লোড দেওয়া হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ থেকে গোডাউন সিলগালা করা হয়। পরে গুদামের ধান-চাল-গম হিসাব করে ওই পরিমাণ ধান-চাল ও গম ঘাটতি পাওয়া যায়। 

ঘটনার দিন থেকে জিয়াউর রহমান গোডাউনের চাবি রেখে পালিয়ে যান। পরে অভিযুক্ত জিয়াউর রহমানের স্থায়ী ঠিকানায় পরপর দুবার কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি জবাব দেননি। এরই ধারাবাহিকতায় খাদ্য বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে প্রায় ১০১ মেট্রিক টন ধান-চাল ও গম চুরি করে বিক্রি করার অপরাধে চলতি বছরের ৭ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয় এবং ৯৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫৬ টাকা জরিমানা আদায়ের আদেশ দেন। চিঠি প্রাপ্তির তিন মাসের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতেও বলা হয়েছে।

চাকরিচ্যুত জিয়াউর রহমান রংপুর সদর উপজেলার কেল্লাবন্দ এলাকার সরকারপাড়ার বাসিন্দা।

এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, প্রজ্ঞাপন জারির তিন মাসের মধ্যে জিয়াউর রহমানকে ৯৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫৬ টাকা জরিমানাকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমাদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় সরকারি পাওনা আদায় আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।