ভোলার বোরহানউদ্দিনে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় ৬৪ জন শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাকিরা সুস্থ আছেন। এ নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন ভোলার সিভিল সার্জন ডা. মনিরুল ইসলাম।
ভোলার জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
অসুস্থদের মধ্যে বোরহানইদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জ্ঞানদা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কুলসুম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থবিভাগের তত্ত্বাবধানে বোরহানউদ্দিনে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচী চলছিল। টিকা নেওয়ার পর থেকে একজন একজন করে শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৪ জন। অনেকেই পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। বেশি অসুস্থ ১৯ জনকে ভোলা ও বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে দুই জন এবং ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ঝয় জন ছাড়া বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। তবে, রাত ৮টার পর নতুন করে আরও দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা জ্ঞানদা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভয়ের কোনো কারণ নেই। এটি মনস্থাত্ত্বিক রোগ। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলনিং করা হচ্ছে। মূলত একজনকে অসুস্থ হতে দেখে অন্যরা অসুস্ হয়ে পড়ে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জেলায় এক লাখ ২১ হাজার শিক্ষার্থীকে এ টিকা দেওয়ার কর্মসূচি চলছে।’
ভোলার জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভ্যাকসিন ঠিক ছিল। ভ্যাকসিনে কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।’