হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) বা জরায়ু মুখ ক্যান্সারের টিকা নিয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মনোহরপুর পুকুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৪০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) থেকে সারা দেশের ন্যায় কালীগঞ্জ উপজেলায়ও এই টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। রোববার (২৭ অক্টোবর) তৃতীয় দিন সকাল ১০টা থেকে মনোহরপুর পুকুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার মেয়েদের এই টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ইউনুছ আলী আলী জানান, দুই ঘণ্টায় প্রায় শতাধিক মেয়ের টিকা দেওয়া হয়। ১২টার দিকে হঠাৎ করে একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে প্রাথমিকভাবে মাদ্রাসায় সেবা দেওয়ার পর সুস্থ হয়। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করেই বিভিন্ন শ্রেণির মেয়েরা অসুস্থ হতে শুরু করে। একে একে প্রায় ৪০ জন মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সে সময় টিকাদান টিমের সহকারীরা হাসপাতালে খবর দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাদ্রাসায় এসে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মাওলানা ইউনুছ আলী আলী বলেন, ‘সকালে হাসপাতাল থেকে চার জনের একটি টিম মাদ্রাসার মেয়েদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করেন। টিকা কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির একটি মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে সে সুস্থ হয়ে উঠে। এর কিছুক্ষণ পর একে একে প্রায় ৪০ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এটাকে ম্যাস হিসটেরিয়া বা দেখাদেখি আতংকগ্রস্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া বলে। আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখি যে কক্ষে টিকা দেওয়া হচ্ছে সেটা বদ্ধ এবং একটি ফ্যান নষ্ট। আমি গিয়ে সবাইকে আলাদা আলাদা কক্ষে বসাই। তারপরও যেসব বাচ্চা অসুস্থ হয়েছে, তাদের অধিকাংশই সকালে নাস্তা করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা নাস্তা করেনি সেসব বাচ্চাদের টিকা দিতে নিষেধ করি। অসুস্থ বাচ্চাদের আমি নিজের গাড়িতে এবং হাসাপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেই। এটা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। সবাই এখন ভালো আছে।’