পটুয়াখালীতে হারানো স্বজনদের স্মৃতিচারণে শ্মশান দিপালী ঊৎসব পালিত হয়েছে। এসময় প্রিয়জনের আত্মার শান্তি কামনায় ঢাকের বাদ্য, ধর্মীয় গান, উলুধ্বনি ও পূজার্চনায় মেতে ওঠেন সনাতনীরা। শ্মশানের সামনে বাহারী খাবারের পসরা সাজিয়ে নতুন পোশাকে সজ্জিত হয়ে প্রার্থণা করেন স্বজনরা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলার মহাশ্মশান ঘাটগুলোতে মোমবাতি, আগরবাতি ও ধুপ প্রজ্জ্বলন করে এ ঊৎসব পালন করা হয়। এছাড়া আলোকমালায় সজ্জিত করা হয় শ্মশান ঘাটগুলো। এর আগে সকাল থেকে শ্মশানগুলো ধুয়ে মুছে পরিচ্ছন্ন করেন তারা।
প্রতি বছর চুতর্থদশীর পুণ্যতিথিতে মহাশ্মশানে সমবেত হন হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজারো নারী-পুরুষ।
কলাপাড়া কেন্দ্রীয় মহা শ্মশানে স্বজনদের স্মৃতিচারণে আসা আখড়াবাড়ি এলাকার গৌতম চন্দ্র বলেন, আমার যে সকল স্বজন গত হয়েছে তাদের স্মরণে এখানে এসেছি। আমাদের পরিবারের সবাই এসেছে। মোমবাতি ও আগরবাতি জালিয়ে আমার পিতামাতার আত্মার শান্তি কামনা করেছি।
চিংগড়িয়া এলাকা থেকে আসা সৌমিত্র বলেন, আমার দাদুর আত্মার শান্তি কামনায় তার সমাধিতে বিভিন্ন ধরনের খাবার দিয়েছি। এছাড়া মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থণা করেছি। প্রতি বছরের এই সময় আমরা এখানে আসি।
কলাপাড়া কেন্দ্রীয় মহা শ্মশানের সাধারণ সম্পাদক সজল সমাদ্দার বলেন, দিপালী উপলক্ষে সকালে শ্মশানঘাট পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। বিকাল থেকেই স্বজনরা এখানে এসেছে। সকালে এখানে গীতা পাঠ, দুপুরে মায়ের পূজো, সন্ধ্যায় দীপ যাত্রা এবং নাম কীর্তন করা হয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, দিপালী উপলক্ষে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। প্রতিটি শ্মশানঘাটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।