সারা বাংলা

নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অবাধে ইলিশ শিকার, প্রকাশ্যে বিক্রি

প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ রক্ষায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মুন্সীগঞ্জে পদ্মা-মেঘনায় অবাধে ইলিশ শিকার চলছে। শিকারের পর সেই ইলিশ নদীপাড়ে বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে।

স্থানীয়রা জানান, সাধারণত সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নদীতে মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের লোকজন অভিযান চালায়। এরপর তারা নদী থেকে উঠে গেলে ইলিশ শিকার মেতে উঠে অসাধু জেলেসহ একটি চক্র।

সরেজমিনে লৌহজং উপজেলায় নদীতীরে গিয়ে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধরা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে নদীর তীরে বসা অস্থায়ী হাটে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৫০০ টাকায়।

জেলেরা জানান, সকাল ৬টা থেকে ৯টা, দুপুর ১২টা থেকে ২টা ও বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাটে বেচাকেনা চলে। প্রতিদিন বিক্রি হয় প্রায় কোটি টাকার মাছ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বলেন, পদ্মা নদীর তীরে বসা অস্থায়ী হাট থেকে ইলিশ কিনে এনেছি। জেলেরা পদ্মা ও মেঘনা থেকে ইলিশ ধরে সেখানে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসেন। দাম মোটামুটি কম হওয়ায় অনেকেই সেখানে যান।

মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এটিএম তৌফিক মাহমুদ বলেন, প্রজনন মৌসুমে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে তিন হাজার জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। যাতে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময় তারা ইলিশ না ধরে। তারপরও কিছু অসাধু জেলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইলিশ শিকার করছে বলে শুনেছি।

প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিগগিরিই নদীতীরে বসা অস্থায়ী হাটে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় জড়িত জেলেদের জরিমানা ও জাল জব্দ করা হচ্ছে। এছাড়া নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মা ইলিশ নিধনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ১৩ অক্টোবর থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন দেশের বিভিন্ন নদ–নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে ইলিশ বিক্রি, মজুত ও বাজারজাতকরণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।