চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বিএনপির দু-গ্রুপের সংঘর্ষে আহত বিএনপি কর্মী সুলতান হোসেন (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত ২৩ অক্টোবর দামুড়হুদা উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের ফকির পাড়ার মোড়ে এ সংঘর্ষ ঘটে। মৃত সুলতান হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাতপুর গ্রামের.মৃত আফছার মন্ডলের ছেলে। তিনি বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ২৩ অক্টোবর নাটুদহ ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের ফকির পাড়ার মোড়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে বিএনপি কর্মী সুলতান হোসেন গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সুলতান হোসেনের ছেলে পলাশ উদ্দীন বাদী হয়ে গত ২৮ অক্টোবর পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। উক্ত এজাহারের ৩ নম্বর আসামি নাটুদহ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের গোচিয়ারপাড়ার সোহরাব উদ্দিনকে (৫৫) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এদিকে সুলতানের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর বিএনপির সুলতান পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বরাজ করছে।