বাসের ধাক্কায় সহপাঠী নিহতের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে তারা সড়ক অবরোধ করেন। এই প্রতিবেদন লেখার সময় রাত১১টা পর্যন্ত মহাসড়কে বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষার্থীরা। ফলে সড়কের দুই পাশে অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস ও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: বাসচাপায় ববি শিক্ষার্থী নিহত, ফের মহাসড়ক অবরোধ
এর আগে, আজ দুপুরে ঘাতক বাস নারায়নগঞ্জ ট্রাভেলস-এর মালিক পক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক করতে বরিশালে আসেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে বলে জানান তাদের। নিরাপত্তাজনিত কারণে বাসটির মালিকপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত জানায় প্রশাসন। ববি শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের অফিসে সভায় বৈঠকে যোগ দিতে রাজি হননি। ববিতে সমঝোতা সভা করাসহ দ্রুত দাবি আদায়ে তাই মহাসড়ক অবরোধ করা হয় বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ছবি সংগৃহীত
ববি শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের জন্য বাস মালিক পক্ষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা করতে হবে। আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভায় যাবো না। ১০ দফা দাবির অধিকাংশ পূরণ না হওয়ায় আমরা আজও রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। নিহতের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান ও দায়ীদের আটকসহ সব দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই বাসচাপায় নিহত মাইশা, বাসে আগুন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, ‘ঘাতক বাসের মালিক পক্ষ ঢাকা থেকে বরিশালে এসেছেন সমঝোতা সভা করতে। শিক্ষার্থীরা চাইছে, বাস মালিক পক্ষের প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তাদের (শিক্ষার্থীদের) সঙ্গে কথা বলুক। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিকিউরিটি ইস্যু আছে, তাই ঊর্ধ্বতনরা জেলা প্রশাসকের অফিসে সভা করার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। শিক্ষার্থীরা তা মানতে রাজি হননি।’
বরিশাল নগর পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে ঘাতক বাসের চালক-হেলপারকে আটকের চেষ্টা চলছে। দ্রুত তাদের আটক করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন মিম। তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি নেত্রকোনার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে।