কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় ৩ দিনেও মামলা হয়নি। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৫ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার ওসি শেখ আওয়াল কবীর।
গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতারপাড়া বাজারে বংশগত পূর্ব বিরোধের জের ধরে দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে গাইন বংশের হামিদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ পিয়াদা বংশের লোকজন। এ ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৫ জন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিহত পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন চরম আতঙ্কে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওইদিন বিকেলে পিয়াদা বংশের ১৫-১৬ জন রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, হাত কুড়ালসহ দেশীয় ধারাল অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাতারপাড়া বাজারে অবস্থানরত গাইন বংশের দুই ভাই হামিদুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা তাদের কুপিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে। হামলায় অন্তত ৫ জন আহত হলে তাদের মধ্যে জামাল, আকবর, সাইফুল ও আসমতকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন দৌলতপুর থানার ওসি শেখ আওয়াল কবীর।
তিনি জানান, পূর্ব বিরোধ ও গোষ্ঠিগত দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষরা দুই ভাইকে হত্যা করেছে। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তবে ৩ দিনেও মামলা না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারের স্বজনরা শোক ভারাক্রান্ত রয়েছে। শোক কাটিয়ে উঠলে তারা থানায় মামলা করবে এমনটি জানিয়েছেন। তবে তারা যে কোন সময় মামলা দায়ের করবেন বলে উল্লেখ করেন ওসি শেখ আওয়াল কবীর।
হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে ঘাতকরা। সেখানে রয়েছে পুলিশের পাহারা। তবে নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।