প্রকৃতি বার বার মানুষকে কাছে টানে। পাহাড়ি পথ আর ঘন সবুজ অরণ্যের অপরূপ সৌন্দর্য যে কাউকে আকৃষ্ট করে। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চায়ের রাজ্য মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল। একবার আসলে মন চায় আবার আসতে। যেখানে সবুজ প্রকৃতি উজাড় ভাবে সৌন্দর্য বিলিয়ে দেয়। আর পর্যটকেরা হারিয়ে যান চিরসবুজের মাঝে।
কমলগঞ্জ মাধবপুর লেক লাউয়াছড়া হয়ে শ্রীমঙ্গলের এম আর খান বাগানের দার্জিলিং টিলা। পথে যেতে যেতে রয়েছে সবুজের হাতছানি। নয়নাভিরাম এমন দৃশ্য দেখতে কার না মন চায়। উঁচু পাহাড়ের টিলা জুড়ে রয়েছে সবুজ বাংলার বুক। মনমাতানো এমন দৃশ্য দেখতেই দেশ বিদেশ থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা।
সবুজ চা বাগানের ফাঁকে মাধবপুর লেক। জলে ভাসছে নীল শাপলা। উঁচু টিলার ছায়া পড়ে দৃশ্যপটকে করেছে মনোহর। এরপরেই গভীর অরণ্য ঘেরা জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়া। রয়েছে হরেক রকমের বন্য প্রাণী। নীরব ভোরে এদের দেখা মিলে। মানুষের আনাগোনা বাড়লে এরা লুকিয়ে যায় গভীর অরণ্যে।
চারদিকে সবুজ আর সবুজ। বৈচিত্র্যে ভরা মায়াবন বিহারীনি। অপরূপ চা বাগান পার হলেই দেখা মিলে আভিজাত্য হোটেল মোটেলের। টি রির্সোটের পাশেই আছে চা যাদুকর। চা গবেষণা ইনিস্টিউট।
মায়াবি আকর্ষণে ভ্রমণ পিয়াসুরা এক নজর দেখার জন্য ছুটে যান এম আর খান বাগানের দার্জিলিং টিলায়। অন্যরকম ডিজাইনে সাজানো চা বাগান দার্জিলিং টিলা। প্রকৃতি প্রেমিরাই এর নাম করণ করেছেন। এখানে হয়তো অন্যরকম আনন্দ পান তারা।
কথা হয় পর্যটক হামিদ হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, সবুজ প্রকৃতির টানে বার বার আসতে মন চায়। তাই সুযোগ পেলেই চলে আসি।
পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে এসেছেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন দেবনাথ। তিনি বলেন, চোখ জুড়ানো সবুজ দৃশ্য। না দেখলে বুঝা যাবে না কত সুন্দর আমার দেশ।
ভ্রমণে আসা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, লাউয়াছড়া ঘুরে লেকে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। লেকে ফুটন্ত শাপলা ফুল দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।
দার্জিলিং টিলা দেখতে ঢাকা থেকে এসেছেন সুহেল মিয়া। তিনি বলেন, দার্জিলিং টিলায় এসে সবুজের সমারহ দেখছি। দার্জিলিংএর মত একটা দৃশ্য, তাই ভালো লাগে।