গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছয়টির মধ্যে চারটি লিফট গত ১০-১২ দিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে হাসপাতাল ভবনে উঠতে-নামতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লিফটগুলো গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগ তদারকি করে। সমস্যা সমাধানের জন্য গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যেই লিফটগুলো মেরামত করে সচল করা হবে।
গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাসির উদ্দিন গলব্লাডার স্টোন নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। শুক্রবার (১ নভেম্বর) তিনি জানান, হাসপাতালে চারটি লিফট নষ্ট। শত শত রোগী সচল দুইটি লিফটে উঠার জন্য প্রতিনিয়ত ভিড় করেন। লিফটে উঠতে নামতে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়।
তিনি আরো জানান, তাকেও লিফটে উঠতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। কারণ হাসপাতালের আট তলায় সিঁড়ি দিয়ে ওঠা তার কাছে ছিল কষ্টের বিষয়। তার মতো অনেকেই লিফটে উঠতে হাসপাতাল এসে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
মহানগরীর নলজানি এলাকার বাসিন্দা সুফিয়া বেগম জানান, তার স্বামীকে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এজন্য স্বামীকে নিয়ে তাকে আট তলায় উঠতে হচ্ছে। দুই লিফটের মধ্যে একটিতে উঠার জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এরপরও তিনি লিফটে উঠতে পারেননি। পরে স্বামীকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে বিকল্প পথ ধরে আট তলায় নিতে হয়। এ কাজে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
হাসপাতালের লিফট অপারেটর মো. সিয়াম হোসেন জানান, ছয়টি লিফটের মধ্যে চারটি লিফট নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এগুলোর মধ্যে দক্ষিণ পাশের ১ নম্বর লিফটি প্রায় ছয় মাস ধরে অকেজো। ৪ নম্বর, ৫ নম্বর ও ৬ নম্বর লিফটি প্রায় ১০-১২ দিন ধরে অকেজো। বর্তমানে হাসপাতালটির ১৫ তলা ভবনের ১৩তলা পর্যন্ত দুইটি লিফট চলাচল করছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, লিফটগুলো গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগ তদারকি করে। সমস্যা সমাধানের জন্য গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যেই লিফটগুলো মেরামতের পর সচল করা হবে বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা। এক নম্বর লিফটি দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে কেন তা তদন্ত করে দেখা হবে।
গণপূর্ত বিভাগ গাজীপুরের নির্বাহী প্রাকৌশলী আব্দুল হালিম জানান, ময়লা জমে ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে লিফটগুলো বিকল হয়ে পড়ে। দুই-একদিনের মধ্যেই আরো দুটি লিফট সচল হয়ে যাবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এক নম্বর লিফটি বন্ধ রয়েছে।