সারা বাংলা

১০ লাখ খরচে আয় ৬৪০ টাকা!

খুলনার ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন’ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চালুর এক সপ্তাহের পরই বন্ধ হয়ে গেছে ট্রেনটি। পরিবহনের জন্য কৃষিপণ্য না আসায় এবং কৃষক-ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহের কারণে এ সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে খুলনা রেলওয়ে। 

রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ২২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে খুলনা-ঢাকা ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনটি’ চালু হয়েছিল। তবে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় সেটি স্থগিত করা হয়েছে। 

এর আগে দিনাজপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন’ স্থগিত ঘোষণা করা হয়। 

খুলনা রেলওয়ের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা বলেন, ‘রেলওয়ের পক্ষ থেকে বাজার ও সবজির আড়তসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচার চালানো হলেও আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। অনেক ব্যবসায়ী প্রতিদিন ট্রেনের ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন। রেলওয়ের পক্ষ থেকে যদি অন্য পরিবহন দিয়ে ডোর টু ডোর পণ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হবেন।’

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় খুলনা রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খুলনার কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনটি খুলনা থেকে ছেড়ে যাশোর, ঝিনাইদহ কুষ্টিয়াসহ ১৫টি স্টেশন থেকে পণ্য নিয়ে রাজধানী ঢাকায় যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। উদ্বোধনের দিন ২২ অক্টোবর মাত্র ৬৪০ কেজি পণ্য বহন করে ট্রেনটি। যা থেকে আয় হয় মাত্র ৪৬০ টাকা। এতে এক দিনে ১০ লাখ টাকা লোকসান হয়। সে জন্য মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) শিডিউল থাকা সত্ত্বেও পণ্যের অভাবে ট্রেনটি যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।

রেলওয়ে সূত্র বলছে, এই ট্রেনে সাধারণ লাগেজ ভ্যানের পাশাপাশি রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানের ব্যবস্থা ছিল। এর মাধ্যমে মাছ মাংসসহ পচনশীল পণ্য পরিবহন করারও সুযোগ ছিল। খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি পণ্যের খরচ পড়বে এক টাকা ৪৭ পয়সা। কিন্তু ব্যবসায়ীদের অনীহার কারণে ট্রেনে কৃষিপণ্য আশানুরূপ পাওয়া যায়নি। তাই দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই ট্রেনটি বন্ধ হয়।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন থেকে ঢাকায় ও শুক্রবার (১ নভেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটের ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন’ সাময়িক স্থগিত করা হয়।