কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার পাঁচজন ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৫১ লাখ ৮ হাজার ৭৭৫ টাকা ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
রোববার (৩ নভেম্বর) দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে একই কার্যালয়ের উপপরিচালক সোবেল আহমদের দপ্তরে চারটি মামলা করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক সোবেল আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় আসামি হওয়া পাঁচ ইয়াবা কারবারি হলেন, টেকনাফের নাজির পাড়ার মৃত সুলতান আহমদের ছেলে হাজী মোহাম্মদ ইসলাম, তার ছেলে আবদুর রহমান, টেকনাফের শীলবনিয়া পাড়ার সাইফুল ইসলাম, টেকনাফের মৌলভী পাড়ার হাজী ফজল আহমদের ছেলে একরাম হোসেন ও আবদুর রহমান।
মামলার এজাহার সুত্রমতে, আবদুর রহমান ও তার বাবা হাজী মোহাম্মদ ইসলামের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩৪ লাখ ২ হাজার ৬৪০ টাকা, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৭৯ লাখ ৭০ হাজার ১১৫ টাকা, হাজী ফজল আহমদের ছেলে একরাম হোসেনের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩০ লাখ ৬৮ হাজার ৪১০ টাকা ও হাজী ফজল আহমদের ছেলে আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৭ হাজার ৬১০ টাকা ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ’ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
মামলার বাদী কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, মামলার ৫ আসামিকেই তাদের সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠায় দুদক। কিন্তু নির্ধারিত ২১ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা না দেওয়ায় এ মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুদক নিজেরাই তদন্ত করে এ আসামিদের ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের’ সন্ধান বের করেছে। এরা প্রত্যেকে মাদক কারবারের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে এ সম্পদ অর্জন করেছেন। তারা এ সম্পদ অর্জন করে আইনগতভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।