সারা বাংলা

মৃত সদস্যের কবর ঘিরে রাতভর চিৎকার হাতির পালের

শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার বাতকুচি টিলাপাড়া গ্রামের ধান খেতে গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে কৃষকদের দেওয়া জেনারেটরের তারে জড়িয়ে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের নমুনা সংগ্রহের পর মৃত হাতিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।

গত শুক্র ও শ‌নিবার (২ নভেম্বর) রাতে মাটি চাপা দেওয়ার স্থানটিকে ঘিরে অবস্থান করে ৫০–৫৫টি বন্য হাতির পাল। তাদের চিৎকারে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে নির্ঘুম রাত কেটেছে গ্রামবাসীর।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাতির মৃত্যুর ঘটনায় গত শুক্রবার রাতেই মধুটিলা ইকোপার্ক রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে ১১ জনের নামে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেছেন। অজ্ঞাতনামা আরো ১০–১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় জেনারেটর চালক শহিদুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বাতকুচি টিলাপাড়া গ্রামের রহিমা বেগম বলেন, ‘যেখানে মৃত হাতিটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে সেখানে জড়ো হয়ে হাতিগুলো চিল্লাচিল্লি করেছে। এতগুলো হাতি আশেপাশে থাকলে ভয় করে। কখন হাতিগুলো বাড়িতে আক্রমণ করে সেই চিন্তায় ছিলাম।’

একই গ্রামের বাসিন্দা মিষ্টার মিয়া বলেন, ‘দুই দিন ধরে আমরা গ্রামবাসীরা পরিবার পরিজন নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রাত পার করেছি। ৫০ থেকে ৫৫টি হাতি ছিল। তারা মাঝে মধ্যে ধান খেতে আক্রমণ করছিল। ওদের চেচামেচিতে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পরি। হাতিগুলো বাড়িতে আসলে সবাই মারা পরতাম।’ 

মধু‌টিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা র‌ফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ পেতে বন বিভাগের কাছে আবেদন করতে বলা হবে।’