হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় কবিরাজ (তান্ত্রিক) শনিচরণ সাঁওতাল ওরফে অজিত সাঁওতাল হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নিহত অজিত উপজেলার দেউন্দি চা বাগানের ফুলছড়ি টিলার বাসিন্দা। একই স্থানের বাসিন্দা নকুল ভৌমিজও। নকুলের ছেলে দীপক। দীপক মনে করে আসছিলেন অজিত জাদু করে তার বাবা নকুলকে মেরে ফেলেছে। তাই অজিতকে গলা কেটে হত্যা করেছে দীপক।
এ হত্যার ২০ দিনের মাথায় চুনারুঘাট থানা পুলিশের তদন্তে রহস্য উদঘাটন হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো দাসহ আলামত জব্দ এবং আসামি দীপককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৩ নভেম্বর) চুনারুঘাট থানায় সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান চুনারুঘাট-মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আজিজুর রহমান সরকার।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসামির বরাত দিয়ে জানান, ১২ অক্টোবর উপজেলার দেউন্দি চা বাগানের ফুলছড়ি টিলায় শনিচরণ সাঁওতাল ওরফে অজিত সাঁওতালকে (৪৫) গলাকেটে হত্যা করে ধানের জমিতে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই অনিল সাঁওতাল থানায় মামলা করেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে একই এলাকার নকুল ভৌমিজের ছেলে দীপক ভৌমিজকে (২৪) র্যাবের সহায়তায় মাধবপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে দীপক হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন জানিয়ে এএসপি আজিজুর রহমান সরকার বলেন, নিহত শনিচরণ সাঁওতাল কবিরাজ পেশায় নিয়োজিত থাকায় নকুল ভৌমিজের সঙ্গে পূর্ববিরোধ ও মনোমালিন্য ছিল। কয়েক বছর আগে নকুল ভৌমিজ মারা যান। সেই থেকে দীপক তার বাবার মৃত্যুর জন্য শনিচরণ সাঁওতালকে দায়ী করে আসছিলেন। ১২ অক্টোবর রাতে শনিচরণ সাঁওতাল বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে একা পেয়ে তার সঙ্গে পূর্ব বিরোধ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় দীপকের। একপর্যায়ে দীপক উত্তেজিত হয়ে ধারালো দা দিয়ে শনিচরণকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে। পরে মরদেহ পাশের ধানের জমিতে ফেলে দীপক পালিয়ে যায়।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লিটন রায় উপস্থিত ছিলেন।