ইলিশের প্রজনন নিশ্চিতে নদী ও সাগরে মাছধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে রোববার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে। নিষেধাজ্ঞা শেষে মধ্যরাতেই পটুয়াখালীর জেলেরা মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন।
গভীর সাগরে যাওয়া জেলেরা এখনও ঘাটে না ফিরলেও জেলার বিভিন্ন নদী ও কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি এলাকায় মাছ শিকারে যাওয়া জেলেরা ফিরেছেন তীরে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ জেলের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এতে হাসি ফুটেছে মুখে।
মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকায়, ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, ৬০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ হাজার আর জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়। গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার ট্রলার তীরে ফিরলে দাম আরও কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
কুয়াকাটা বাজারে মাছ নিয়ে আসা জেলে রহমান মিয়া বলেন, আমরা খুটা জাল দিয়ে সাগরের কাছাকাছি এলাকায় মাছ শিকার করি। দীর্ঘ ২২ দিন পর সাগরে জাল ফেলে ভালো মাছ পেয়েছি। এমন মাছ পেলে পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব।
সাইমন মিয়া নামে আরেক জেলে বলেন, ভোররাতে সাগরে জাল ফেলি। ভালো মাছ পাওয়ায় সকালেই বাজারে নিয়ে আসি। প্রায় ৯ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি।
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন দেশের বিভিন্ন নদ–নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সরকার। অবরোধ শতভাগ সফল হয়েছে। আশা করছি জেলেরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী মাছ পাবেন।