বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় বিএনপির অফিসে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সাত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে র্যাব ও আদমদীঘি থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সান্তাহার ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু (৫৬), ছাতিয়ানগ্রাম ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আব্দুল হক আবু (৬০), কুন্দগ্রাম ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান শামিমুল হুদা খন্দকার শামীম (৫২), আদমদীঘি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান (৫৬), উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা খন্দকার নাজিমুল হুদা (৬২), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমিনুল ইসলাম সুমন (৪০) ও উপজেলা যুবলীগের নেতা একরাম হোসেন (৪২)।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঠেকাবার জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কমপক্ষে ২৫০ জন নেতাকর্মী আদমদীঘি সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপির অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর হামলাকারীরা বিএনপি অফিসে ঢুকে দরজা-জানালা, আসবাবপত্র ভাঙচুরের পর পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট রাতে ১২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার সাতজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।