খুলনায় সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের ভাগ্নে শেখ আরিফুজ্জামান রূপম (৩৪) দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন।
দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, সকালে দুই গ্রুপ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল করে। এটি জানতে পেরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে দেখেন একজন অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। সেখানে তারা জানতে পারেন ওই ব্যক্তির নাম রূপম। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তিনি মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া চলমান।’
সোমবার (৪ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে নগরীর দৌলতপুর আঞ্জুমান মসজিদ সড়কে ঘটনাটি ঘটে। নিহত রূপমের বিরুদ্ধে মাদকসহ চারটি মামলা রয়েছে।
রূপম আঞ্জুমান সড়কের শেখ কামাল উদ্দিন বাচ্চুর ছেলে।
যৌথবাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে দৌলতপুরের আঞ্জুমান মসজিদ সড়কে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী। অভিযান থেকে ফেরার পথে সড়কে মারামারির ঘটনা দেখে সেখানে যান তারা। যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে লোকজন রূপমকে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে যৌথবাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দৌলতপুর থেকে ১৮পিস ইয়াবাসহ রূপমকে আটক করেছিল। এর আগে, ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর দিঘলিয়া উপজেলার পানিগাতী গ্রাম থেকে রূপমসহ দুই জনকে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করেছিল র্যাব।