সারা বাংলা

পর্যটকে মুখর সাজেক

দেড় মাস পর দেশের অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র রাঙামাটির সাজেক আবারও মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটকদের পদচারণায়। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে প্রায় ছয়শ পর্যটক নিয়ে খাগড়াছড়ি সদর থেকে ছেড়েছে প্রায় ৫০টি জিপ গাড়ি। বরাবরের মতোই বাঘাইহাট জোনের আওতায় সেনাবাহিনীর টহল টিম পর্যটকদের নিয়ে সকাল ১০টার পর বাঘাইহাট থেকে সাজেকের উদ্দেশে রওনা দেন। 

এদিকে দীর্ঘদিন পর সাজেকে পর্যটক আগমনে খুশি ব্যবসায়ীরা। প্রথম দিন পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও ধীরে ধীরে পর্যটকরা সাজেকমুখী হবেন বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন। সাজেকে ১১৬টি হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। এছাড়া ১৪টির বেশি রয়েছে রেস্তোরাঁ।

 

সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রজিৎ চাকমা বলেন, প্রথমদিন বুকিং কম। তারপরও ভালো লাগছে পর্যটকদের জন্য সাজেকের দুয়ার খুলে গেল। তাদেরকে বরণে আমরা শতভাগ প্রস্তুত। আশা করছি, ধীরে ধীরে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠবে সাজেক। 

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি চাই থোয়াই চৌধুরী জয় বলেন, দীর্ঘদিন পর পর্যটকরা সাজেক ভ্রমণ করতে পারায় ব্যবসায়ীরা খুশি। প্রথম দিন ৪৫০-৬০০ পর্যটক এসেছে। আশানুরূপ না হলেও প্রথম দিন হিসেবে এই সংখ্যা সন্তোষজনক। 

তিনি আরও বলেন, হয়তো প্রথমদিকে পর্যটক সংখ্যা কম হলেও ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। পর্যটকরা আসলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন। আর নিরাপত্তা নিয়েও নেই কোনো শঙ্কা।

 

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ বলেন, সাজেকে পর্যটক ভ্রমণের বিধি-নিষেধ খুললেও আপাতত মনে হচ্ছে না ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো। কারণ সামনে বার্ষিক পরীক্ষা তাই অভিভাবকরা এসময় ঘুরতে বের হবে না। 

তিনি আরও বলেন, সাজেকে মৌসুম শুরু হয় জুলাই থেকে। কারণ এখানে বর্ষার সৌন্দর্য এবং শীতের সৌন্দর্য আলাদা নজর কাড়ে পর্যটকদের। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর আমাদের কোনও ব্যবসা হয়নি। তারপরও আমরা আশাবাদী পর্যটকরা আসলে সব কিছু ঠিক হয়ে আসবে।