নোয়াখালীর সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কয়েকশত গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার ও গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন, জেলার চাটখিল উপজেলার ছয়ানী টবগা গ্রামের বাদল হোসেন (২১), রুইতখালী গ্রামের মো. রবিন (২৮), সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি গ্রামের মো. বাহার (৩০), বেগমগেঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন (২৬) ও কুমিল্লার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের মুরাদ হোসেন (২২)।
পুলিশ জানায়, সোমবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ মডেল থানা ও সেনবাগ থানা পুলিশ সদস্যরা সেনবাগের সেবারহাট সায়েদ প্লাজার সামনে নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। চেকপোস্টে রাত ১টার দিকে ১২ কেজি গাঁজাসহ পিকআপ ভ্যান আটক করা হয়। এরপর পিকআপের ভিতরে পলিথিনের প্যাকেটে লুকানো অবস্থায় ১০টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। পিকআপ ভ্যান থেকে গ্রেপ্তার তিনজনেক থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ৩-৪ দিন আগে সোনাইমুড়ীর দেওটি গ্রামের এক ব্যক্তির কাছে তারা কয়েকটি অত্যাধুনিক পিস্তল সরবরাহ করেছেন।
পুলিশ আরও জানায়, এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোনাইমুড়ীর বাহারকে আটক করে পুলিশ। পরে তার ভাষ্যমতে প্রবাসী জাফর মিয়ার রান্নাঘরে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৯টি ম্যাগাজিনসহ ৫টি বিদেশি পিস্তল, ২টি দেশীয় তৈরি এলজি, ২৭৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি নেছার আহমেদ, নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।