সারা বাংলা

অসময়ের ভাঙনে যমুনায় বিলীন ১৫ ঘর

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরপৌলী ১০ খাদা এলাকায় অসময়ে যমুনা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ওই এলাকার ১৫টি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এদিকে, ভাঙন থেকে বাঁচতে অনেকেই নদীর পাড় থেকে নিজেদের বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, সরকার ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে তারা বিপদে পড়বেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, যমুনার ভাঙন রোধে দ্রুতই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা জানান, শুষ্ক মৌসুমেও নদী তীরবর্তী চরপৌলী এলাকা ভাঙনের মুখে পড়েছে। আজ সকাল ১০টা থেকে নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ১৫টি ঘর নদীতে বিলীন হয়। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পুরো এলাকা চলে যাবে যমুনার পেটে। ভাঙন আতঙ্কে নদীর পাড় থেকে অনেকেই ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। 

ক্ষতিগ্রস্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দিন মজুরের কাজ করি। আজ সকলেই আমরা ভাঙনের মুখে পেড়েছি। সরকার সহযোগিতা না করলে আমরা বিপাকে পড়বো।’

মো. ইব্রাহিম খা নামে অপর বাসিন্দা বলেন, ‘আগেও আমাদের এলাকার অসংখ্য ঘর যমুনায় বিলীন হয়েছে। আজ প্রায় ১৫টি ঘর  বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল থেকে ভাঙন শুরু হয়। অসময়ে নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

টাঙ্গােইল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি প্রথম জানলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানা হয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’