হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে প্রায় ১১০ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান ও ২৪ হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মশিউর রহমান এ সব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দমকা বাতাসে ক্ষেতে রোপা আমন ধান হেলে পড়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আকতারুজ্জামান শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমি পরিদর্শন করে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ওপর দিয়ে শিলাসহ বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এতে গাছপালা, বাসাবাড়ি ভেঙে গেছে। বৃষ্টির পর দেখা গেছে, রাস্তা ও বাসা বাড়ির আঙিনায় শিলার স্তূপ। শিলাবৃষ্টির সঙ্গে ধমকা হাওয়ায় ক্ষেতের রোপা আমনের ধান, সবজির ক্ষতি হয়েছে। শিলায় ঘরবাড়ির টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমান সুমন বলেন, শিলাবৃষ্টিতে তারসহ বিভিন্ন লোকজনের ঘরের টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
বিরামচর গ্রামের কৃষক সুজন মিয়া জানান, হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে তার ক্ষেতে লাল শাকের ক্ষতি হয়েছে। বেগুন ক্ষেতেরও ক্ষতি হয়েছে। এ সব চাষে তার প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। নতুন করে চাষ করার মতো টাকা তার কাছে নেই।
কদমতলী গ্রামের কৃষক আহমদ আলী জানান, তার ক্ষেতের রোপা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় তিনি কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। আহমদ আলী ও সুজনের মতো অন্যান্য কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ঝড়ো হাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনেক গাছ ভেঙে গেছে। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন গাড়ির, বাসার জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে।
হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আকতারুজ্জামান বলেন, বোরো ধানের মৌসুমে সাধারণত শিলাবৃষ্টি হয়ে থাকে। এবার আমনের মৌসুমে অসময়ে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। তবে এতে রোপা আমনের তেমন ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তারপরও কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।