বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আওলাদুল ইসলামকে র্যাব-১৪ এর সদস্যদের থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ছিনিয়ে নেয়। আওলাদুল ইসলাম শেরপুরে সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পরেই তাকে গ্রেপ্তার করে শেরপুর সদর থানার পুলিশ।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে আওলাদুল ইসলামকে ছিনিয়ে নেওয়ার দুই ঘণ্টা পর বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের ভাতশালা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, হত্যা মামলার আসামি আওলাদুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থান করছেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ এর দল অভিযান চালায়। এ সময় চেয়ারম্যানের চিৎকারে এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে র্যাবকে ঘিরে ফেলে মারমুখী আচরণ করে। এ সময় র্যাব ও জনতার মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়। জননিরাপত্তা কথা বিবেচনা করে র্যাব ঘটনাস্থল থেকে দূরে অবস্থান নেয়। পরে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা পরিষদের পাশের বিল দিয়ে চেয়ারম্যানকে নিয়ে চলে যায়।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবায়দুল আলম বলেন, ‘র্যাবের সঙ্গে ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই আমরা অভিযানের প্রস্তুতি নেই। পরবর্তীতে আওলাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে কারা বিশৃঙ্খলা করেছেন, তাদের সম্পর্কে তদন্ত চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।’
এ ব্যাপারে জামালপুর র্যাব-১৪, সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভিযান পরবর্তী সময়ে কয়েক শতাধিক মানুষের সমাগম হয় এবং উত্তেজনাকর পরিবেশ তৈরি হয়। এ সময় বল প্রয়োগ করলে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বিধায় কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। তবে তার অবস্থান সম্পর্কে নজরদারি করেছে র্যাব। পরবর্তীতে র্যাবের সহায়তায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ বিষয়ে শেরপুর পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, ৪ আগস্ট মাহবুব ও সৌরভ হত্যা মামলার আসামি আওলাদুল ইসলামকে ভাতশালা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে পাঠানো হবে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।