শর্ত না মানা ও মিথ্যা তথ্য দেয়ায় পঞ্চগড়ের মৈত্রী টি ইন্ডাস্ট্রিকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হক তারেক। এ সময় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ চা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চা বোর্ড জানায়, পঞ্চগড়ের চা শিল্পের সংকট দূর করে চা শিল্প এগিয়ে নিতে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে গত দুই মাসে চারবার চা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করা হয়। সভায় সর্বসম্মতিতে চায়ের সর্বনিম্ন দর প্রতি কেজি ১৭ টাকা নির্ধারণসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সাথে এই সিদ্ধান্তগুলো মানা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করার জন্য মনিটরিং টিমও গঠন করা হয়। কিন্তু তারপরও কিছু কারখানা মালিক নিয়মনীতি না মেনে খেয়ালখুশি মতো চা পাতা ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিলেন।
চাষিদের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চগড় জেলা শহরের সুরিভিটা হেলিপ্যাড এলাকায় মৈত্রী টি ইন্ডাস্ট্রিতে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। কারখানাটিতে চাষিদের ন্যায্যমূল্য না দেওয়া, চাষিদের চায়ের ওজন থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাদ দিয়ে দাম দেওয়া ও মিথ্যে তথ্য দেয়ার অভিযোগের সত্যতা পায় তারা। পরে কারখানা মালিককে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ জরিমানার টাকা পরিশোধ করে।
পঞ্চগড় চা বোর্ডের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসন ও চা বোর্ড পঞ্চগড়ের চায়ের উন্নয়নের চা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যারা সিদ্ধান্ত মানবে না, নিয়মনীতি মানবে না, এবং চাষিদের ন্যায্যমূল্য দিবে না তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার মৈত্রী চা কারখানায় অনিয়ম খুঁজে পাওয়ায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।