সারা বাংলা

জল-পাহাড়ের কাপ্তাই হ্রদে মুগ্ধ পর্যটকরা

বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের পর ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটিতে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। প্রথমদিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খুব বেশি পর্যটক না আসলেও সময়ের ব্যবধানে তাদের সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে হোটেলের প্রায়  ৬০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে। পর্যটক আসায় বিগত সময়ের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা এ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে রাঙামাটির পর্যটনের আইকন ঝুলন্ত সেতুতে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। এদের অনেকেই পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। যারা সুযোগ পেয়েছেন তারা নৌকা ভাড়া করে কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ নীল জলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। হ্রদের নীল জলরাশি ও পাহাড়ের সবুজ প্রকৃতিতে মুগ্ধ হচ্ছিলেন তারা। 

জামালপুর থেকে বেড়াতে আসা ফারজানা আক্তার বলেন, ‘সকালে বোটে সুবলং গিয়েছি। সেখানে যাওয়া-আসার পথে হ্রদের দুই পাশের পাহাড়ের সৌন্দর্য খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সবুজ প্রকৃতি আমাদের মুগ্ধ করেছে। সুবলং থেকে এখন ঝুলন্ত সেতুতে এসেছি।’

অপর পর্যটক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছিলাম রাঙামাটির পরিস্থিতি ভালো না, কিন্তু এসে দেখতে পেলাম কোনো সমস্যা নেই। কোনো সমস্যা ছাড়াই সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমার কাছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির পরিবেশ খুব ভালো লেগেছে।’

চট্টগ্রাম বন গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে ঘুরতে আসা রফিক বলেন, ‘রাঙামাটিতে আমাদের এক সহকর্মীর বিয়ে। তার বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরতে এসেছি। ভালো লাগছে কাপ্তাই হ্রদ ও পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে পর্যটনের অনেক সুন্দর সুন্দর স্পট রয়েছে। এসব স্পট আরো উন্নত করা দরকার।’

পর্যটন বোট ঘাটের ম্যানেজার ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের প্রথমদিকে খুব বেশি পর্যটক আসেননি। আস্তে আস্তে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকে (শুক্রবার) অনেক পর্যটক এসেছেন। বিধি-নিষেধের কারণে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, পর্যটক আসতে থাকলে আমার তা কাটিয়ে উঠতে পারবো।’

পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ডেস্ক ইনচার্জ নাইমুল ইসলাম সানি বলেন, ‘এখন পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। আমাদের হোটেলে প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশ বুকিং রয়েছে। অন্যান্য হোটেলগুলোতেও একই অবস্থ। আশা করছি, সামনে ভালো ব্যবসা হবে।’

রাঙাামটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। সব শঙ্কা কেটে যাওয়ার পরই আমরা বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করেছি। গত এক সপ্তাহ ধরে পর্যটকরা আসছেন। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। আশা করছি ভবিষ্যতেও হবে না। দেশবাসীকে নিশ্চিন্তে রাঙামাটি ভ্রমণের আহ্বান জানাচ্ছি।’