সারা বাংলা

কিশোরগঞ্জের চন্দন মার্কিন নির্বাচনে টানা চতুর্থবার সিনেটর 

মার্কিন নির্বাচনে টানা চতুর্থবার সিনেটর নির্বাচিত হলেন কিশোরগঞ্জের সন্তান মোজাহিদুর রহমান চন্দন। নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী লিসা ব্যাবেজের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৭০ শতাংশ বেশি ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিসেবে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নরক্রস, লিলবার্ন ও লরেন্সভিল নিয়ে গঠিত ডিস্ট্রিক্ট-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন।

একই নির্বাচনী এলাকা থেকে এর আগে তিনবার সিনেটর নির্বাচিত হন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার এই কৃতিসন্তান। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান ও প্রথম মুসলিম যিনি জর্জিয়ায় সিনেটর নির্বাচিত হন। 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৫ সালে তৎকালীন ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জে বাজিতপুর থানার সরারচরে পৈতৃক বাড়িতে শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন জন্মগ্রহণ করেন। মরহুম নজিবুর রহমান এবং সৈয়দা হাজেরা খাতুন দম্পতির চতুর্থ সন্তান তিনি। তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি মেজো। চন্দনের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার ছোট ভাই শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। বর্তমানে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। 

ছোট ভাই শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বলেন, বড় ভাইয়ের বিজয়ে শুধু আমি ও আমার পরিবার নয়, পুরো বাজিতপুরবাসী আনন্দিত ও গর্বিত। ১৯৮১ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন বড় ভাই। ছাত্রজীবনেই তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। আমার মা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনিও বড়ভাইয়ের বিজয়ে অনেক আনন্দিত।

তিনি আরও বলেন, বড় ভাই নির্বাচন পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় সকল প্রবাসীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সবার দোয়া ও আশীর্বাদে বিজয়ী হওয়ার মধ্যে অন্যরকমের একটি আনন্দ রয়েছে-যা তাকে আরও সামনে এগোতে সহায়তা করবে। এর আগেও তিনি তিনবার সেখানে সিনেটর হিসেবে বিজয়ী হয়ে বিভিন্ন সামাজিক ও বাংলাদেশি কমিউটিনিটির জন্য কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন। সর্বশেষ বাংলাদেশিদের জন্য নানান অবদানের জন্য তাকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আব্দুল মোমেন পুরস্কৃতও করেছেন। তাই তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আর এভাবেই তিনি সবসময় সকলের সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন। 

তার বিজয়ে এলাকাবাসীও বেশ আনন্দিত। এর আগে তিনি একবার সিনেটর নির্বাচিত হয়ে এখানে আসার পর এলাকাবাসী তার সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন। তারা আশা করছেন, এবারও যদি তিনি দেশে আসেন তাহলে বেশ বড় করে তার সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।