সারা বাংলা

আরিচা-কাজিরহাট ফেরি চলাচল আবারও বন্ধ 

নাব্যতা সংকটের কারণে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথের ফেরি চলাচল আবারও বন্ধ হয়ে গেছে। 

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১টায় ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি)। এতে দুর্ভোগে পড়েছে মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাট ও পাবনার কাজিরহাট প্রান্তে আটকা পড়া তিন শতাধিক পণবাহী ট্রাকের চালক, সহযোগী ও যাত্রীরা।  

আটকেপড়া ট্রাকচালক আব্দুর রহিম বলেন, ‘রাজশাহী যাওয়ার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে আরিচা ঘাটে এসেছি গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায়। আজ (শনিবার) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এখানেই ফেরি পারের অপেক্ষায় আছি। ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখন বিকল্প পথে যাওয়ার চিন্তা করছি। ফেরিতে নদী পারাপার আরামদায়ক ও সহজে যাতায়াত করা যায় বলে আমরা এই নৌপথটি ব্যবহার করি। কিন্তু ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছি।’

আটকেপড়া অন্যান্য ট্রাকের চালক ও যাত্রীরাও দুর্ভোগের কথা জানান। তারা বলেন, প্রতিবছর এই সময়ে নদীতে নাব্যতা সংকট হয়। আগে থেকেই নদীতে খনন করলে নাব্যতার সংকট হতো না। এই পথের যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়তো না।  

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ বলেন, গত তিন মাস ধরে আরিচা ঘাটের অদুরে ডুবোচরে ফেরি আটকে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় অর্ধেক পণ্য বোঝাইসহ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেরি চালু রাখা হয়। ছয়টি খনন যন্ত্র দিয়ে দিয়ে খনন করেও নাব্যতা ঠিক রাখা যাচ্ছে না। চলাচলরত ফেরি ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে দফায় দফায় বন্ধ থাকছে। এভাবে ফেরি চলাচল করতে থাকলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা থাকে। দুর্ঘটনা এড়াতেই শুক্রবার রাত ১১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। নৌপথের নাব্যতা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

এর আগে, নাব্যতা সংকটের কারণে ১ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে ৩৭ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।