সারা বাংলা

স্বেচ্ছাশ্রমে তুলশীগঙ্গা নদী পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু

নওগাঁ জেলা শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত তুলসীগঙ্গা নদী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ‘জাতীয় যুব দিবসে সারাদেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে নদী বা জলাশয় অথবা খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে’ সরকারের এমন সিদ্ধান্তে স্থানীয় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে যুব সংগঠনগুলো স্বেচ্ছায় এ কাজ শুরু করেন।

যুব সংগঠন বিডি ক্লিন, রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউটস, ওয়াইএসএফ, নওগাঁ পৌরসভা, পানি উন্নয়ন বোর্ডে যৌথভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করেছেন। 

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়াল পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় পুলিশ সুপার মো. কুতুব উদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাবেদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম রবিন শীষ উপস্থিত ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, তুলসীগঙ্গা নদী বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলা থেকে উৎপত্তি হয়ে জয়পুরহাট জেলা হয়ে নওগাঁ জেলা শহরের ভেতর দিয়ে জেলার রানীনগর উপজেলার চককতুব নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এক সময় এই নদীটি ছিল খুবই খরস্রোতা। 

নওগাঁ জেলা ব্যবসা বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিলো তুলসীগঙ্গা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসতো বড় বড় নৌকা। এখানকার কৃষি পণ্য পরিবাহিত হতো। পাওয়া যেত প্রচুর মাছ। কৃষি অর্থনীতিতে একটা ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হতো। কিন্তু কালের প্রভাবে নদীটি ভরাট হয়ে গিয়েছিল।

স্বেচ্ছাশ্রমে নদী পরিষ্কারে অংশ নেওয়া কয়েকজন জানান, নওগাঁ জেলার আওতাধীন তিলকপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর থেকে রানীনগর উপজেলার চককতুব পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার নদী খনন করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে কচুড়িপানা জমাট বেঁধে থাকায় নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এসব কচুরিপানা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

পরিচ্ছন্নতা করা হলে আবারও প্রাণ ফিরে পাবে নদীটি। নদীর দুইপাশের মানুষের ফসলের জমিতে সেচ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে বলেও এতে অংশ নেওয়া অনেকের দাবি।