নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর বিসিক এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওপরের প্রায় ২০০ মিটার জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ময়লার স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও কাচঁপুরে আলনূর কোম্পানির সামনে বিভিন্ন এলাকার ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি সওজের জায়গা দখল করে এ কাজ করছেন বলে জানা যায়। এতে পথচারী, যানবাহনের যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলে আসলেও পৌর কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক ও জনপথের জায়গায় মহাসড়কের ওপর ময়লা ফেলে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এতে আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যারাই এই পথ দিয়ে যাচ্ছে সবাই নাক চেপে যাতায়াত করছে। মহাসড়কে ময়লা ফেলার কারণে বেড়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও। কিছু কিছু জায়গায় ময়লার স্তূপের মধ্যে আগুণ জ্বালিয়ে রাখার কারণে সেখান থেকে ধোঁয়া বের হয়ে আসে পাশের বসত বাড়িতে ও মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীদের নাকে-মুখে যাচ্ছে।
আরিফুল ইসলাম নামে এক পথচারী জানান, বিভিন্ন ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাই দায় হয়ে পড়েছে। জনপ্রতিনিধি বা সওজের কোনো লোক এ বিষয়টি সমাধান করছে না।
কতিপয় প্রভাবশালীরা এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে ব্যবসা করার কারণে স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ পরিবহন যাত্রী ও সাধারণ ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মোশাররফ হোসেন স্কুলের শিক্ষার্থী শাওন হোসেন বলেন, আমার বাসা কাঁচপুর নয়াবাড়ি অর্থাৎ মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে হওয়ায় প্রতিদিন এই রাস্তাটি পাড় হয়ে ওইপাড়ে স্কুলে যেতে হয়। রাস্তায় এমন ময়লা আবর্জনার কারণে নাক-মুখ চেপে ধরে পাড় হতে হয়। এতে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ি। তাছাড়া বৃষ্টি হলে এসব ময়লা আবর্জনা জমে থাকা পানিতে মিশে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। আর তাই জরুরি ভিত্তিতে এই মহাসড়ক থেকে ময়লা আবর্জনার স্তূপ সরানো হোক।
এ বিষয়টি নিয়ে কথা হয় আলাউদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, আমি সওজের কাছে মৌখিক অনুমতি নিয়েছি। যেহেতু এটা সরকারি জমি, চাইলে আমাদের উচ্ছেদ করতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, মহাসড়কের ওপর ময়লা না ফেলার জন্য আমরা গুরুত্বের সঙ্গে চেষ্টা করেছি। অনেকেই আমাদের অগোচরে মহাসড়কে ময়লা আবর্জনা ফেলছে। আমি দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।