কাগজে-কলমে নিষিদ্ধ হলেও চট্টগ্রাম মহানগরীর মহাসড়ক এবং অলিগলি এখন অটো রিকশার দখলে। চালকরা প্যাডেল চালিত রিকশা চালাতে আগ্রহী না হওয়ায় অটো রিকশায় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন মালিকরা।
অটো রিকশার মালিকরা জানান, প্যাডেল চালিত রিকশা থেকে অটো রিকশায় আয় হয় বেশি। সে কারণেই তারা এই রিকশা সড়কে নামাচ্ছেন। বেপরোয়াভাবে সড়ক-মহাসড়কে রিকশাগুলো চলাচল করলেও পুলিশ বা বিআরটিএ কোনো সংস্থাই বাধা দিচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তারা।
চট্টগ্রাম মহানগরীর হামজারবাগ এলাকার একটি রিকশা গ্যারেজের মালিক আব্দুল মালেক। আগে তার ৩০টি প্যাডেল চালিত রিকশা ছিল। সাম্প্রতি তিনি অটো রিকশায় অর্থ বিনিয়োগ করছেন।
রাইজিংবিডিকে আব্দুল মালেক বলেন, ‘এখন চালকরা আর প্যাডেল চালিত রিকশা চালাতে আগ্রহী নয়। এখন শহরের অলিগলি এবং প্রধান সড়কে অটো রিকশা চলাচল করছে। সে কারণে আমিও অটো রিকশায় বিনিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছি।’
নগরীর বায়েজিদ এলাকার গ্যারেজ মালিক হাশেম বলেন, ‘আগে প্যাডেল রিকশায় দিনে ১০০-১২০ টাকা জমা পাওয়া যেত। অটো রিকশায় দিনে ৩০০-৪০০ টাকা জমা পাওয়া যায়। আয় বেড়েছে। ফলে এই রিকশায় বিনিয়োগ করছি। পুলিশ বা অন্য কোনো সংস্থা এই রিকশা সড়ক ও মহাসড়কে চলাচলে বাধা দিচ্ছে না।’
সরেজমিন চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ‘প্রতিটি সড়কেই অটো রিকশার দাপট। এই রিকশাগুলো প্রধন সড়কে বেপরোয়া গতিতে চলছে বাধাহীনভাবে। পুলিশ ও ট্রাফিক সার্জেন্টদের সামনেই রিকশাগুলো চলাচল করলেও কেউ তাদের দিতে এগিয়ে আসেনি।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহমেদ জানান, ‘অবৈধ অটো রিকশার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। প্রতিদিনই নগরের বিভিন্নস্থান থেকে এই রিকশা জব্দ করা হচ্ছে। অভিযান আরো জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’