প্লাস্টিকের ব্যবহৃত বোতল, ড্রাম ও ঝাড়ের বিনিময়ে নিম্ন আয়ের লোকজন নিচ্ছেন ডিম, কেউ চাল-আটা, সয়াবিন তেল ও মাছসহ নানা নিত্যপণ্য সামগ্রী।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠে তিন দিনব্যাপি প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোর’ নামে এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
সকালে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ভাইস-চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন গাছা বন্ধবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক আবু হাসনাত, হাবিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা, কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
আয়োজকেরা জানান, এ কর্মসূচিতে প্রায় ৩০০ দরিদ্র পরিবার অংশ নেয়। তারা তাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল ও অন্যান্য প্লাস্টিক সামগ্রী জমা দিয়ে বিনিময়ে চাল, ডিমসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করেন। প্রথম দিনে প্রায় তিন টন প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হয়। যা পরবর্তীতে রিসাইক্লিংয়ের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হবে। এ উদ্যোগ স্থানীয় জনগণের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করছে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থিক সহায়তা হিসেবে কাজ করছে।
হাবিব নামে একজন বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বাড়িতে অনেকগুলো প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করছিলাম। মনে করেছিল ভাঙ্গারী দোকানে বিক্রি কইরা দিমু। এই হানে প্লাস্টিক দিয়া চাল, ডিম আর মাছ দিবো হোইনা এহানে নিয়া আইছি। এই রকম সব সময় পাইলে ভালোই অয়তো।’
বিদ্যানন্দের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুখ আহমেদ বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে অস্তিত্বের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে প্লাস্টিক। প্লাস্টিক দূষণে বিপন্ন প্রাণিকুলকে রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি। এ পৃথিবীকে দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য রাখতে হলে সচেতনতা ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, এ ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোর’ উদ্যোগ স্থানীয় জনগণের মাঝে প্লাস্টিক দূষণরোধে সচেতনতা তৈরি করছে।