গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাবেদ মোল্লাসহ পাঁচ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রোববার (১০ নভেম্বর) বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাবেদ মোল্লা, টুঙ্গীপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যু্ব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এস এম আল আমিন ও তাদের সহোদর সাদ্দাম শেখ এবং বিল্লাল শেখ।
ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান জানান, দিদার হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামিরা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় চন্দ্রদিঘলীয়া, চর গোবরা ও গিমাডাঙ্গা উত্তরপাড়া থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী স্ত্রী-সন্তানসহ বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের উদ্দেশে গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী যাচ্ছিলেন। গাড়ি বহরটি বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় শওকত আলী দিদারকে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের ঢালে ফেলে রাখা হয়।
এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেলে নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক মহিলা এমপি নাজমা আক্তারসহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ১৫০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।