মিটার বক্সে চোরের রেখে যাওয়া বিকাশ নম্বরে ৫ হাজার টাকা পাঠালে ফেরত পাবে চুরি যাওয়া বৈদ্যুতিক মিটার। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বেশ কিছু দিন ধরে এমন ঘটনা ঘটছে। এতে উপজেলার সেচ প্রকল্প ও তাঁত কারখানার মিটার মালিকেরা চোর চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) এক রাতেই উপজেলার হায়দারপুর গ্রাম থেকে পাঁচটি, কাজিপুরা গ্রাম থেকে তিনটি ও ঠাকুরঝিপাড়া থেকে সাতটি মিটার চুরি হয়েছে। চোরেরা সেচ প্রকল্প ও তাঁত কারখানার এসব মিটার ফিরিয়ে দিতে প্রতিটির জন্য পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেছে বলে জানিয়েছেন মিটার মালিকেরা।
হায়দারপুর গ্রামের জামাল সরকার বলেন, ‘সকালে আমার ভাই মেশিনঘরে গিয়ে দেখেন, ঘরের সঙ্গে লাগানো মিটার নেই। মিটারের জায়গায় খালি বক্সের ভেতরে একটি টোকেনের সঙ্গে ফোন নম্বর লেখা। পরে আরও কয়েক জায়গায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, তাদের মিটারও নেই। পরে ওই নম্বরে ফোন কল দিলে একজন বলে এখন ঘুমাচ্ছি, পরে ফোন দেন।’
ঠাকুরঝিপাড়ার তাঁত কারখানার মালিক মুজাম্মেল হক বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে কারখানা থেকে বাড়িতে যাই। পরে গভীররাতে আমার কারখানার বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, আমাদের গ্রামের আরও ছয়টি মিটার চুরি হয়েছে। চোরের রেখে যাওয়া নম্বরে কল দিলে বলা হয়, প্রতি মিটারের জন্য পাঁচ হাজার টাকা দিলে মিটার ফেরত দেওয়া হবে।’
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২-এর কামারখন্দ সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মোক্তার হোসেন বলেন, ‘মিটার চুরির খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে গ্রাহকেরা না করলে আমরা মামলা করব।’ চুরির এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের কেউ জড়িত নেই বলেও জানান তিনি।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত চোরচক্র শনাক্ত করে চুরি যাওয়া মিটার উদ্ধার করব।’