ময়মনসিংহের রহমতপুরে আজাহার ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যান তিনি। এনিয়ে গত ৪ নভেম্বর ঘটনায় মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুর হোসেন মৃত্যুর এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন: ফিলিং স্টেশনে আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে ৪, মামলা
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম কামরুল। তিনি আজাহার ফিলিং স্টেশনের পাশে একটি খাবারের হোটেলের মালিক ছিলেন।
এর আগে, হিমেল মুন্সি (২৫), আব্দুল কুদ্দুস (৮০), আবুল হোসেন (৪৫) ও তোফাজ্জল হোসেন (৪২) মারা যায়। আগুনের ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়ে সুমি আক্তার (৩০) ও আব্দুল মালেক (৫০) নামে দু'জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নুর হোসেন জানান, গত সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে ময়মনসিংহ থেকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় পাঁচ জনকে ঢাকা নেওয়া হয়। এর মধ্যে আজ দুপুরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামরুল হাসান নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ১০০ শতাংশ দগ্ধ ছিল বলে জানা গেছে। দগ্ধ সুমি আক্তার ও আব্দুল মালেক চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি আরো জানান, গত ৬ নভেম্বর দুপুরে নিহত প্রাইভেটকার চালক হিমেল মুন্সির মা ইয়াসমিন ওরফে হেনা বাদী হয়ে আজহার ফিলিং স্টেশনের মালিক আজহারসহ ছয় জনকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে আজাহার ফিলিং স্টেশনে ঢাকা থেকে আনা একটি এলপিজি গ্যাসের ট্যাংক লরি থেকে গ্যাস নামানো হচ্ছিল। একটু দূরেই একটি প্রাইভেটকারে গ্যাস দেওয়া হচ্ছিল। এ সময় গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে সাতটি গাড়ি ভস্মীভূত হয়। এর মধ্যে একটি প্রাইভেকটার ও তিনটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য গাড়ি ছিল। পরে পুড়ে যাওয়া প্রাইভেটকার থেকে হিমেল নামের ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়।