গাইবান্ধায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের মিছিলে গুলি ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী) আদালতে মামলাটি করেন গত ৪ আগস্ট আন্দোলনে আহত ওয়াহেদুর রহমান।
আদালতের বিচারক আব্দুল মতিন মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজওয়ানুল হক এতথ্য জানিয়েছেন।
বাদী ওয়াহেদুর রহমান সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হলদিয়া গ্রামের দিল মোহাম্মদের ছেলে। তিনি পেশায় টেইলার মাষ্টার।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গাইবান্ধার তৎকালীন পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহীম, গাইবান্ধা সদর থানার সাবেক ওসি মাসুদ রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মন্ডল, জেলা যুবলীগের সভাপতি সর্দার সাঈদ হাসান লোটন, সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবীব রাজীব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক মামুন। নাম না জানা আসামি করা হয়েছে আরো ৫০ থেকে ৬০ জনকে।
অ্যাডভোকেট রেজওয়ানুল হক বলেন, গত ৪ আগস্ট দুপুরে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামন দিয়ে সার্কিট হাউজে যাওয়ার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ। এসময় ওয়াহেদুর রহমান তার সঙ্গে থাকা রাশেদুজ্জামান আশিকসহ নাম না জানা অসংখ্য ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানো আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গুলিবদ্ধ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে হাসপাতাল থেকে আহতদের বের করে দেওয়া হয়। ওইদিন শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশে জেলার পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার ওপর গুলি এবং হামলা করে হত্যা চেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বাদী ওয়াহেদুর রহমান শরীরের ৯টি জায়গায় গুলিবিদ্ধ হওয়ায় দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সুস্থ হয়ে আসার পর বাদী আদালতে হাজির হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলার আবেদন করেন। বিচারক আব্দুল মতিন মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।