সারা বাংলা

গাজীপুরে তিন কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ, ১৪ কারখানা বন্ধ

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকায় শ্রমিক ছাটাইয়ের প্রতিবাদ ও হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে আরো তিনটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে একটি কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছে। এছাড়া দাবি-দাওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে ১৪ টি পোশাক তৈরি কারখানা বন্ধ রয়েছে।

কারখানা তিনটি হচ্ছে, কোনাবাড়ি এলাকার এম এম নিটওয়্যার লিমিটেড, স্বাধীন গার্মেন্টস লিমিটেড ও এলাকার কাশেম ল্যান্ডস কারখানা।

শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জানায়, শ্রমিক আন্দোলনের সময় কারখানায় হামলা ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে শ্রম আইন অনুযায়ী এম এম নিটওয়্যার লিমিটেডসহ কয়েকটি কারখানায় শ্রমিক ছাটাই করা হয়। এর মধ্যে এম এম নিটওয়্যার-এর দেড়শ শ্রমিক ছাটাই করা হয়। ছাটাইকৃত শ্রমিকরা তাদের সকল পাওনাদি বুঝে নিলেও ফের চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য কারখানা ফটকে জড়ো হয়। তাদের কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে ওই কারখানার সকল শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করে। পরে কারখানার ভিতরেই অবস্থান করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এছাড়া সময়মতো বেতন ভাতা পরিশোধ না করা ও শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিবাদে গাজীপুর কোনাবাড়ির জরুন এলাকার স্বাধীন গার্মেন্টসের শ্রমিকরা গত সোমবার থেকে কারখানার মূল ফটকের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। আজও তারা বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। 

এ সময় শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, ‘মাসিক বেতন মাসের ৭ তারিখের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত বেতন দিচ্ছে না।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাধীন গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান রাজু বলেন, ‘ব্যাংকের ঝামেলার কারণে বেতন দিতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত তাদের বেতন পরিশোধ করার।’

অপরদিকে, কোনাবাড়ি বাইমাইল এলাকার কাশেম ল্যাম্পস লিমিটেড নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল, নাইট বিলসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। এসব এলাকার কারখানার নিরাপত্তার জন্য থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ দায়িত্বে রয়েছে। 

গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম জানান, গাজীপুরের মালেকের বাড়ি এলাকার টিএনজেড অ্যাপারেলস কারখানার সমস্যা সামাধান হওয়ার পর মহাসড়কে আর কোথাও কোনো ঝামেলা নেই। তবে কোনাবাড়ি এলাকার তিনিটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। এদের মধ্যে দুইটি কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকরা চাকরিতে ফিরতে চায় অন্য একটিতে  হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল, নাইট বিল বৃদ্ধির দাবি। 

তিনি আরো বলেন, ‘টিএনজেড অ্যাপারেলসসহ জেলার ১৪ টি কারখানা বিভিন্ন কারণে আজও বন্ধ রয়েছে।’