ঢাকার সাভারে গৃহবধূর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী নয়ন মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ বলছে, পরকীয়ায় জড়িত থাকার সন্দেহে পারিবারিক কলহের জের ধরে নয়ন মিয়া তার স্ত্রীকে হত্যা করেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শাহীনুর কবির। সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের দত্তপাড়ার জঙ্গল থেকে গৃহবধূ সান্তনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূর নাম শান্তনা বেগমের (৩৬) স্বামী নয়ন মিয়া পেশায় রাজমিস্ত্রী। তারা দত্তপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। শান্তনার বাবার বাড়ি ধামরাই উপজেলার বালিয়ায় গ্রামে। আর নয়ন মিয়ার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায়।
এএসপি শাহীনুর কবির বলেন, ‘গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে খবর পাই সাভার থানার বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির পাশে সেতু নার্সারির ভেতরে অজ্ঞাত মরদেহ পড়ে রয়েছে, যার মাথা নেই ও কনুই পর্যন্ত দুই হাত কাটা। তার অদূরে আরেকটা ব্যাগের ভেতরে তার মাথা ও হাত পাই। এ নারীর প্রথম স্বামী জহুরুলের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। তার প্রতিবেশী নয়ন মিয়া তার বর্তমান স্বামী। নয়ন মিয়া তার সঙ্গে ৬-৭ মাস আগে পরকীয়া প্রেম করে তাকে এখানে নিয়ে আসে। নয়নেরও আরেকটা স্ত্রী রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে নয়ন এবং সান্তনার মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। নয়ন সন্দেহ করতেন, সান্তনা বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে পরকীয়া করেন।’
এএসপি আরও বলেন, ‘তিন দিন আগে সান্তনা তার মায়ের ও বোনের মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে বলেন, তাকে অত্যাচার করা হচ্ছে। তখন সান্তনা কেন ফোন করলেন, এ কারণে নয়ন তার স্ত্রীকে কয়েকটি চড় মারেন এবং রাগে বাসা থেকে বের হয়ে যান। সান্তনাও পিছে পিছে যান। সেতু নার্সারির কর্তৃপক্ষ জানায়, নয়নকে এখানে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। এরপর সবকিছু তদন্ত করে আমরা দেখি তার স্বামীই এ হত্যার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।’