মোবাইলে চ্যাটিং, সিগারেট ও গাঁজা সেবনকে কেন্দ্র করে পাবনা জেলা স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগ উঠেছে সপ্তম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে- বেশ কিছুদিন ধরেই জেলা স্কুলের সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোবাইলে চ্যাটিং, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে র্যাগিং, শিক্ষার্থীদের মারধর, বিদ্যালয় কক্ষ এবং টয়লেটে সিগারেট ও গাঁজা সেবন নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
এরই জের ধরে মঙ্গলবার টিফিনের শেষ মুহূর্তে সপ্তম শ্রেণির ‘ঘ’ শাখার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণির ‘ঘ’ শাখার শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করে কমপক্ষে ১০/১৫ জন শিক্ষার্থীকে ব্লেড ও হাত দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছড়িয়ে পড়ে। ভয় ও আতঙ্কে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছোটাছুটি শুরু করে। কেউ কেউ ভয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যায়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পাবনা জেলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তুষার কুমার দাস জানান, অনুসন্ধান করে এই ঘটনার সাথে নেতৃত্ব দেওয়া ৪/৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্ত করা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে আনা হয়। দীর্ঘসময় বৈঠক করে পরবর্তীতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা এ ধরনের ঘটনা আর ঘটাবে না মর্মে মুচলেকা দেওয়ায় তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়।
কয়েকজন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন- দীর্ঘদিন ধরেই পাবনা জেলা স্কুলে এমন কর্মকাণ্ড চলে আসছে। একটি কিশোর গ্যাংকে বিদ্যালয় প্রশাসন দমনে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। এ ধরনের ঘটনা বন্ধে এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করা হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘১৫ মাস হলো এখানে যোগদান করেছি। তখন থেকে এমন অভিযোগ শুনে আসছি। এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটলো। এসব প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ব্যর্থ হলে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাহায্য নেব।’