সারা বাংলা

চাল আমদানি হলেও প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে

দীর্ঘ ১৯ মাস পর গত সোমবার দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুল্কমুক্ত চাল আমদানি শুরু হয়েছে। প্রকারভেদে এই সব চাল টন প্রতি ৪১০-৪৭০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। বরং আগের থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। আমদানিকারকরা বলছেন, আমদানিকৃত চাল বাজারে এলেই দাম কমে যাবে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা আব্দুল খালেক নামে এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, আমার খেটে খাওয়া মানুষ। জিনিসপত্রের যে দাম, তাতে সংসার চলানো দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। চালের দাম যদি একটু স্বাভাবিক থাকত, তাহলে উপকার হতো। ভেবেছিলাম চাল আমদানি হলে দাম কমে যাবে। তবে দাম কমেনি, বরং আরও বেড়েছে।

রফিকুল ইসলাম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানি হলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। এখনও বাড়তি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। তাহলে শুল্কমুক্ত চাল আমদানি করে লাভ কি?

চাল ব্যবসায়ী স্বপন শাহ বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানি হলেও খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েনি। বর্তমানে হিলি বাজারে দেশি আটাশ জাতের চাল কেজিপ্রতি দুই টাকা বেড়ে ৫৮ টাকা, শম্পা কাটারি তিন টাকা বেড়ে ৬৮ টাকা, স্বর্ণা জাতের চাল দুই টাকা বেড়ে ৪৮ টাকা এবং জিরাশাইল চাল ৬৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানিকৃত রত্না আতব জাতের চাল ৫৮ টাকা এবং স্বর্ণা জাতের চাল ৫৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, দেশের বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানি অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে চালের দাম কমবে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৩ আমদানিকারক ৯১ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।

এর আগে, গত বছরের ৩০ মার্চ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়েছিল।