সারা বাংলা

রাস পূর্ণিমায় পুণ্যার্থীদের সমাগমে মুখরিত কুয়াকাটা সৈকত

লেম্বুর বন থেকে লাল কাকড়ার বন— ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কুয়াকাটা সৈকত পুণ্যার্থীদের পদভারে মুখরিত। রাখাইন মার্কেট, সীমা বৌদ্ধ বিহার, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার ও ইলিশ পার্কসহ সব পর্যটন স্পটে অসংখ্য মানুষের সরব উপস্থিতি। 

রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কুয়াকাটা সৈকতে পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাস পূর্ণিমার মূল পূজা শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুণ্যার্থীরা সৈকতের বালিয়াড়িতে আনন্দে মেতেছেন। অনেকেই বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখছেন। 

মানবজাতিকে রক্ষায় দ্বাপর যুগে কংস রাজাকে বশ করে পূর্ণিমা তিথিতে ঘটে রাধা-কৃষ্ণের পরম প্রেম। সেই থেকেই রাস উৎসবের প্রচলন। সত্য ও সুন্দরের জয়ের আকাঙ্ক্ষায় প্রায় ২০০ বছর ধরে কুয়াকাটা ও কলাপাড়ায় রাস উৎসব উদযাপন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও কুয়াকাটায় হচ্ছে রাস উৎসব। 

পঞ্জিকা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভোররাত ৫টা ৪৩ মিনিটে শুরু হয়েছে রাস পূর্ণিমা। থাকবে শুক্রবার ভোররাত ৩টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। কুয়াকাটার রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমে রাতভর পূজা-অর্চনা শেষে শনিবার ভোরে গঙ্গাস্নান করবেন ভক্তরা। 

রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে সৈকতের বিভিন্ন স্থানে বসেছে প্রায় ১ হাজার ভ্রাম্যমাণ দোকান। পুণ্যার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। 

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পুণ্যার্থী সজল মিত্র বলেছেন, আমরা আজ (শুক্রবার) সকালে কুয়াকাটায় এসেছি। কুয়াকাটার বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখছি। পরিবেশটা দারুণ লাগছে। সকালে গঙ্গাস্নান শেষে ফিরে যাব। 

খুলনা থেকে আসা পুণ্যার্থী মৌমিতা সাহা বলেন, গতকাল বিকেলে কুয়াকাটায় পৌঁছেছি। রাতে এখানে অনেকেই পূজা-অর্চনা করেছে। আজও রাতভর এখানে নানা অনুষ্ঠান হবে। সকালে সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে গঙ্গাস্নান করব। 

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ বলেছেন, পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ আছে। আশা করছি, সবাই মিলে সুন্দর রাস উৎসব উপহার দিতে পারব।