বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৯৯ দিন চিকিৎসা শেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন আব্দুল্লাহ। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেওয়ার পর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামের মেধাবি ছাত্র আব্দুল্লাহ। দিনমজুর বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে গরিব বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে আব্দুল্লাহ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তি হয় ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেন তিনি। গত ৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেট ক্ষতবিক্ষত করে আব্দুল্লাহকে। তিন মাস মৃত্যুর সাথে লড়ে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) শহীদের মর্যাদা নিয়ে চলে গেলেন পরপারে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হলো বেনাপোলের বড় আশা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে।
বেনাপোল সীমান্তের বড়আঁচড়া গ্রামের দিনমজুর বাবা আব্দুল জব্বারের ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ। ৩ ভাই ১ বোনের সংসারে ছোট সন্তান ছিল আব্দুল্লাহ। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা বেনাপোল জুড়ে।
বেনাপোল বন্দরের কার্গো ইয়ার্ড উদ্বোধনে গিয়ে আব্দুল্লাহ’র মৃত্যু খবর পেয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মঞ্জুর মান্নান, বিজবির রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম আব্দুল্লাহ’র বাবা-মায়ের কাছে ছুটে যান। উপদেষ্টা মহোদয় আব্দুল্লাহ’র বাবা-মাকে সান্তনা দেন এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বেনাপোল বলফিল্ড মাঠে রাষ্ট্রীয় বিশেষ মর্জদায় শীহদ আবদুল্লাহকে গার্ড অব অনার শেষে জানাযার নামাজ সম্পন্ন হয়। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে নানা নারীর কবরের পাশে শায়িত করা হয় আব্দুল্লাহকে।
তার জানাজায় বেনাপোলের সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এর পাশাপাশি জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবিরুল হক সাবু যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন হাজী আনিসুর রহমান মুকুল, শার্শা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক খাইরুজ্জামান মধু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান জহিরসহ বিএনপি ও জামাতের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।