সারা বাংলা

ছুটির দিনে সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের ভিড়

পর্যটনশহর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত পর্যটকদের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ কর্মজীবনের ক্লান্তি দূর করতে ছুটে এসেছেন সমুদ্র নগরীতে। শীত মৌসুমের শুরুতে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সরেজমিনে সমুদ্রসৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতের কলাতলী থেকে ডায়াবেটিক পয়েন্ট পর্যন্ত পর্যটকদের ঢল নেমেছে। কেউ সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে মিশে টায়ারে চড়ছেন, কেউ ওয়াটার বাইকে গতির আনন্দ নিচ্ছেন, আবার কেউ বিচ বাইক কিংবা ঘোড়ায় চড়ে নতুন অভিজ্ঞতা নিচ্ছেন। শিশুরা মাটির ইমারত গড়ে আনন্দ করছে, আর বেশিরভাগ মানুষ আপনজনদের হাত ধরে চিকচিক বালির ওপর হেঁটে সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। 

চাঁদপুর থেকে আসা আরিফুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার এমন একটি জায়গা যেখানে বারবার আসতে মন চায়। পরিবারের সবাই মিলে এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছি। 

কুমিল্লার বাসিন্দা মোহাম্মদ সামি বলেন, সাগর আর পাহাড় একসঙ্গে দেখার সুযোগ কেবল কক্সবাজারেই। খরচ একটু বেশি হলেও এ জায়গার আকর্ষণ অতুলনীয়। 

কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্রসৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম। এর পাশ দিয়ে নির্মিত মেরিন ড্রাইভ সড়ক পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কক্সবাজারে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে পর্যটনের সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। টেকনাফের সাবরাং ও মহেশখালীতে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক তৈরির কাজ চলছে। 

শহরের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা পর্যটকদের যাতায়াতে সহজতা এনে দিয়েছে। রেল যোগাযোগ, বিমানবন্দর উন্নয়ন, সাগর পথে জাহাজ চলাচলসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন দৃশ্যমান। 

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলে ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। শীতের শুরুতে পর্যটক আসা শুরু হয়েছে এবং তা ধীরে ধীরে আরও বাড়বে। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করছে। কক্সবাজারের পাহাড় ও সমুদ্রের অপূর্ব মেলবন্ধন সারা বছরই পর্যটকদের আকর্ষণ করে, বিশেষ করে শীত মৌসুমে এখানে থাকে উৎসবমুখর পরিবেশ।