গঙ্গাস্নান বা পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শেষ হয়েছে রাস উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। আজ শনিবার ভোর ৬টায় জাগতিক সকল পাপ মোচনের আশায় সৈকতের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে এ গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করেন হিন্দুধর্মাবলম্বীরা।
গঙ্গাস্নান বা পুণ্যস্নানে মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শেষ হয়েছে রাস উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে জাগতিক সকল পাপ মোচনের আশায় সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে এ গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করেন হিন্দুধর্মাবলম্বীরা।
এর আগে মোমবাতি, আগরবাতি, বেলপাতা, ফুল, দুর্বা, হরতকি, ডাব, কলা, তেল ও সিঁদুর সমুদ্রের জলে অর্পণ করেন হিন্দুধর্মাবলম্বী নারীরা। এ সময় উলুধ্বনি ও মন্ত্রপাঠে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সৈকত। এছাড়া পিতৃ পুরুষের তর্পণসহ পিণ্ডদান করেন সনাতনী পুরুষরা। পরে শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে ১৭ জোড়া যুগল প্রতিমা দর্শন করেন ভক্তরা।
ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কুয়াকাটায় রাস উৎসব শেষ হলেও কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমে এ উৎসব চলবে ৫ দিন। আগতদের নিরাপত্তায় থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
ঢাকা থেকে আসা চিনময় মণ্ডল বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে গঙ্গাস্নানের উদ্দেশ্যে কুয়াকাটায় এসেছি। ভোররাতে এখানে গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করেছি এবং জগতের সবার ভালো হোক সেটাই কামনা করেছি।
খুলনা থেকে আসা দীপালি বিশ্বাস বলেন, মোমবাতি, আগরবাতি, বেলপাতা, ফুল, দুর্বা, হরতকি, ডাব, কলা, তেল ও সিঁদুর সমুদ্রের জলে অর্পণ শেষে গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করেছি। ঈশ্বরের কাছে মনোবাসনা কামনা করেছি। আশা করছি ঈশ্বর আমাদের সকল আশা পূরণ করবেন।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ বলেন, হিন্দুধর্মাবলম্বীদের রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে কুয়াকাটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিলো। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এ উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।