সারা বাংলা

১০ ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লেন বেক্সিমকোর শ্রমিকরা

বেক্সিমকো ইন্ড্রাস্টিয়াল পার্কের শ্রমিকরা ১০ ঘণ্টা পর চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক ছেড়েছেন। তারা বকেয়া বেতনের দাবিতে শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিক্ষোভ নিয়ে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সারা দিন পর রাত সোয়া ৭টার দিকে তারা সড়ক থেকে চলে যায়।

কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরের সারোবো এলাকায় বেক্সিমকো ইড্রাস্টিয়াল পার্কে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুথানের পর গত কয়েক মাস ধরে শ্রমিকরা প্রতিমাসের আন্দোলন করে বেতন আদায় করছে। চলতি মাসেও আশপাশের প্রায় সব কারখানার বেতন- ভাতা পরিশোধ হলেও বেক্সিমকো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা বেতন পায়নি। সকাল থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানার গেটে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কারখানা থেকে কিছু সামনে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। এতে দীর্ঘ যানজটে দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।

গণঅভ্যুন্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর বেক্সিমকো গ্রুপের কর্নধার সালমান এফ রহমান গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করা, শেয়ারবাজারে কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন:এবার চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ শ্রমিকদের

শিল্প পুলিশ জানায়, বেক্সিমকো পার্কে স্টাফসহ ৪১ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। প্রতি মাসের তাদের বেতন ৮০ থেকে ৮২ কোটি টাকা। প্রতিমাসের ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে তাদের বেতন দেওয়া হতো। এখন মালিকদের কেউ না থাকায় বেতন ঠিকমতো পাচ্ছেন না। যার কারণে তারা গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) থেকে আন্দোলন শুরু করেন। সারা দিন শ্রমিকদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অনেকভাবে বুঝিয়েও সড়ক থেকে সরাতে পারেনি। রাত সোয়া ৭টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নিয়েছেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা জানিয়েছেন বেতন দেওয়ার মতো টাকা নেই। তবে রাত সোয়া ৭টার দিকে শ্রমিকেরা মহাসড়ক ছেড়ে দিয়েছেন।’’ 

এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি সাইফুল ইসলাম।