সারা বাংলা

সরকার ক্ষুদ্র চা কারখানা অনুমোদনের কথা ভাবছে: চা বোর্ডের চেয়ারম্যান

সরকার ক্ষুদ্র চা কারখানা অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘উত্তরাঞ্চলের ক্ষুদ্র চা চাষিরা ক্ষুদ্র চা কারখানা গড়ে তোলার আবেদন জানিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা ক্ষুদ্র চা কারখানা অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবছি।’’

রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে উত্তরাঞ্চলের চা বাগান এবং ক্ষুদ্র চা চাষিদের চা আবাদ সম্প্রসারণ এবং চায়ের গুণগত মান উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

চা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘চা শিল্পের সমস্যা একেকটা জায়গায় একেকরকম। উত্তরাঞ্চলের চা শিল্পের প্রধান সংকট কোয়ালিটি। পঞ্চগড়ের চায়ের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মার্কেটিং। এখানে চাষিদের উন্নতি করতে হলে কাঁচা চা পাতার কোয়ালিটি বাড়াতে হবে। কারখানার কিছু সিন্ডিকেটের ব্যাপারও আছে। যদি চাষিরা কোয়ালিটি চা পাতা দেয়, তাহলে অবশ্যই তাঁকে নায্য মুল্য দিতে হবে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আন্ডারগ্রাউন্ডে চা বিক্রির একটা বদনাম আছে, আমি অস্বীকার করব না। এ এলাকার ফ্যাক্টরির যারা আছে, তাদের এ বদনাম আছে। এ জন্য আমরা মনিটরিং বাড়াব। আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করব। এখানে প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে। যাতে মনিপলি না হয়।’’

মেজর জেনারেল শেখ সরওয়ার হোসেন বলেন, ‘‘এখানকার ক্ষুদ্র চা চাষিরা ক্ষুদ্র চা কারখানার ব্যাপারে প্রয়োজনীয়তার কথা উপস্থাপন করেছেন। আমি চেষ্টা করব, নিয়ম-নীতির ভেতরে থেকে এটা যদি করা যায়, আমরা সেটা করব। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুভাব করি, যদি নিয়ম টা রিফ্রেম করেও এটা করা যায়, তাহলে চাষিরা যেমন উপকৃত হবে, রাষ্ট্রও তেমনি উপকৃত হবে।’’

পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ড মিলনায়তনে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় ক্ষুদ্র চা চাষি, বাগান মালিক, কারখানা কর্তৃপক্ষ, ক্রেতাসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির, পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমির হোসেন, চা বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকতা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।