হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট পৌরসভার পশ্চিম পাকুড়িয়া খোয়াই বেইলি ব্রিজে গুলি ছুঁড়ে বিপাকে পড়েন নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক এমপি রানা মোহাম্মদ সোহেল। এমনকি এ ঘটনায় তিনি স্থানীয়দের হাতে মারধরেরও শিকার হন বলে অভিযোগ। এরপর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সাবেক এমপি রানা মোহাম্মদ সোহেল গাড়ির ধাক্কায় জিএম শাহিন (৪৫) নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী আহত হলে এই উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আহত জিএম শাহিনকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত জিএম শাহিন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার উষাইনগর এলাকার মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে।
জিএম শাহিন জানান, রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সাবেক এমপি ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা রানা মোহাম্মদ সোহেলকে বহনকারি (ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩-১২৪৬) গাড়ি শ্রীমঙ্গল থেকে সাতছড়ি যাওয়ার পথে চুনারুঘাট খোয়াই বেইলি ব্রিজে এলে যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় গাড়িটি পিছিয়ে আনলে মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। এনিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রানা মোহাম্মদ সোহেল পিস্তল উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়েন। গুলির আওয়াজে বেইলি ব্রিজে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এতে যানজট বেড়ে যায় ও আশপাশ এলাকার মানুষ জড়ো হয়। স্থানীয়রা রানা মোহাম্মদ সোহেলকে আটক করে গায়ে হাত তোলে ও থানা পুলিশকে খবর দেয়।
চুনারুঘাট থানার ওসি মোহম্মদ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘পিস্তলসহ রানা মোহাম্মদ সোহেল রানাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বাড়ি রংপুর জেলার কেরানীপাড়া এলাকায়। তিনি মৃত মহসিন মিয়ার ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনিপুরীদের রাস অনুষ্ঠান উপভোগ করতে রানা মোহাম্মদ সোহেল রানা শ্রীমঙ্গলে আসেন। পরে শ্রীমঙ্গল থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের উদ্দেশ্যে তিনি যাচ্ছিলেন।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান জানান, সেনাবাহিনী রানা মোহাম্মদ সোহেলকে তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে। তার অস্ত্র চুনারুঘাট থানা পুলিশের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রানা মোহাম্মদ সোহেল কেন কি কারণে গুলি ছুড়েন বিষয়টি তদন্ত করলে জানা যাবে।’
খবর পেয়ে শাহজিবাজার সেনা ক্যাম্পের ক্যাপটেন সামিউনের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ক্যাপটেন সামিউন বলেন, ‘ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি। তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়েছেন সেটি সঠিক। তবে অস্ত্রটি লাইসেন্সকৃত কিনা যাচাই বাচাই চলছে। পরবর্তীতে আমরা জানাবো।’