সারা বাংলা

কুমিল্লায় অবৈধ অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, জনভোগান্তি

কুমিল্লা শহরে অবৈধ অটোরিকশার দাপটে ভেঙে পড়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থা। অবৈধ এসব যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে শহরের ট্রাফিক পুলিশ। পুরো শহর জুড়ে অবৈধ ইজিবাইক, মোটা চাকার অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনের দৌরাত্ম্যে ভয়াবহ যানজট কিছুতেই কমছে না। পাঁচ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লেগে যাচ্ছে এক ঘণ্টা। এতে করে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরে চলাচলরত কয়েক লাখ মানুষের। 

যানজটে নাকাল পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহর কুমিল্লা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যেন যানজট লেগেই থাকে এই নগরীর সড়কে। যানজট যন্ত্রণায় নাগরিক দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক নগরবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

বিশেষ করে শহরের প্রবেশ মুখ কান্দিরপাড়, টছমব্রিজ শাসনগাছা অটোরিকশা ও মিশুকের দখলে। এছাড়া ভিক্টোরিয়া কলেজ রোড, রাজগঞ্জ চত্বর থেকে চকবাজারের অবস্থাও একই। এছাড়া শহরের ভেতরে প্রধান সড়কের বেশির ভাগ জায়গা অবৈধ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের চাপে অন্যান্য যান নিয়ে চলাচল কঠিন হয়ে পড়ছে। 

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে সাড়ে ১০ হাজার প্যাডেল রিকশার নিবন্ধন থাকলেও সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অন্তত ৫০ হাজার অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এসকল অবৈধ অটোরিকশা ও ইজিবাইকের বিশৃঙ্খল চলাচলের কারণে যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। 

কুমিল্লা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইশিকা আহমেদ বলেন, আমার বাসা থেকে কলেজ মাত্র ১০ মিনিটের রাস্তা। এক ঘণ্টা আগে বাসা বের হয়েছি। কিন্তু প্রায় ৪০ মিনিট হয়েছে এখনো পৌঁছাতে পারি নাই কলেজে। আর ২০ মিনিট আছে পরীক্ষার তাই হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি পরীক্ষা দিতে। 

মো. শাহীন নামে এক পথচারী বলেন, কুমিল্লায় যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সবার মত আমারও দাবি যানজট যেনো একটু নিরসন হয়। 

কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লা একটি ব্যস্ততম শহর। যে পরিমাণ রাস্তা থাকার কথা ছিলো কুমিল্লায় সে পরিমাণ রাস্তা নেই। রাস্তা স্বল্পতা এবং প্রচুর পরিমাণে ইজিবাইক এবং অটোরিকশা বৃদ্ধি পেয়েছে। যানজট নিরসনের কারণে যে সকল অবৈধ যানবাহন রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। অটোরিকশার দৌরাত্ম্য এবং জনভোগান্তি কমাতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।