তৃতীয় দিনের মতো বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুর মহানগরের সারাবো এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।
শিল্প পুলিশ জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পোশাক ও সিরামিক কারখানায় একচল্লিশ হাজার কর্মী রয়েছে। ওই কারখানার শ্রমিকেরা সপ্তাহখানেক ধরেই সড়ক অবরোধ করে অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছে। গত শনিবার ১০ ঘণ্টা ও রোববার সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে রাখে। রাতে অবরোধ তুলে নিলেও তৃতীয় দিনের মতো আজ (সোমবার) সকাল ৯টা থেকে পুনরায় ওই সড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছেন শ্রমিকরা।
এদিকে সড়ক অবরোধ করায় ওই রুট ব্যবহারকারী যাত্রী ও চালকেরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকেই ব্যাটারিচালিত রিকশা করে যাতায়াত করছেন। উত্তরবঙ্গের যানবাহন বিকল্প হিসেবে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ধামরাই-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে ঢাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
শ্রমিকরা বলছেন, ‘আমরা রুমভাড়া দিতে পারছি না, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। প্রতি মাসের বেতন যথাসময়ে না দিলে চলতে পারিনা। আমাদের বেতন যেকোনো মূল্যে পরিশোধ করতে হবে। বেতন না পেলে এই অবরোধ ধারাবাহিকভাবে চলবে।’
সারাবো এলাকার সবুর হোসেন বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। শ্রমিকদের অবরোধে কার্যত অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার বাস বিকল্প রাস্তায় চলছে। এর দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।’
রিমন নামে একজন শ্রমিক বলেন, ‘এই ভোগান্তি আর ভালো লাগেনা। বকেয়া বেতনের জন্য যেমন আমরা ভোগান্তিতে। ঠিক তেমনি সাধারণ মানুষ রাস্তা অবরোধের কারণে ভীষণ ভোগান্তিতে। কর্তৃপক্ষ এবং বর্তমান সরকারের উচিত এটার দ্রুত সমাধান করা।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকরা আজও সড়কে অবস্থান নিয়েছে। বকেয়া বেতন পাওয়ার আশ্বাস না পেলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে যাবে না। তাদের বুঝিয়েও সড়ক হতে সরানো যায়নি। সড়কটি বন্ধ রয়েছে, বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে অনেক পরিবহন চলছে।’